সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দুপাশে ধানের শিষ। মাঝে লক্ষ্মী পেঁচা। এটাই লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমানের ম্যাসকট। যার নাম আবার ‘ভোট্টু’। আর তাকে নিয়েই দোল উৎসবে মাতলেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আবিরে রঙিন হয়ে সকলকে সুস্থ ভাবে ভোট দেওয়ার বার্তা দিল ভোট্টু।
[বাওরের জলে ডুবে মৃত যুবক, বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের]
তবে কেন এমন দেখতে ভোট্টু? জানা গিয়েছে, বরাবরই বর্ধমানের প্রধান অর্থকরী ফসল ধান। আর সমৃদ্ধির প্রতীক পেঁচা। সেই সঙ্গে কাঠের পেঁচার তৈরির জন্য বিশ্ববিখ্যাত বর্ধমানের নতুনগ্রাম এলাকা। এসব কথা ভেবেই বর্ধমানের নির্বাচনী ম্যাসকট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ভোট্টুকে। আর তাকে নিয়েই দোলে বিশেষ আয়োজন করেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বরাবরই দোল উৎসবে কিছুটা ব্যতিক্রমী বর্ধমান। মহাপ্রভুর স্মৃতি বিজড়িত এই এলাকায় রং খেলা এক অন্য মাত্রা পায়। একদিন নয়, দুদিন ধরেই রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। তাই সকলকে এক জায়গায় পেতে দোলকে বেছে নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। শুক্রবার বর্ধমানে একটি রঙের উৎসবের আয়োজন করা হয় প্রশাসনের তরফে। এদিন সকাল থেকেই সেই অনুষ্ঠানে ছিল নির্বাচনী ম্যাসকট ‘ভোট্টু’। তাকে সামনে রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচার চালান প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সকলকে নির্ভয়ে নিজের ভোটটি দেওয়ার কথা বলে ‘ভোট্টু’। এর পাশাপাশি সকলের সঙ্গে মিশে হাত পেতে মিষ্টিরও ভাগও নেয় সে।
[লড়াই হবে সমানে সমানে, মহুয়াকে বার্তা কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের]
অনুষ্ঠানে ছিলেন বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সিইও শান্তনু বসু সহ অন্যান্যরা। জেলাশাসক এবিষয়ে বলেন, “বর্ধমান একটু ব্যতিক্রম। দোলের পরদিন হোলি হয় এখানে। ভোট আসতে চলেছে। তাই এদিন ম্যাসকট ভোট্টুর সঙ্গে আমরা হোলি খেললাম। উদ্দেশ্য ভাল করে ভোট হোক। নির্ভয়ে সকলে ভোট দিন। নিজের বিবেকের উপর আস্থা রেখে ভোট দিন। সেই বার্তাই দেওয়া হল ভোট্টুকে নিয়ে।”