Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরটিআই করেও দুটি বিষয়ে শূন্য, সংসদের ভূমিকায় বিতর্ক

আদালতে যাওয়ার ভাবনা ছাত্রীর পরিবারের।

Birbhum student’s RTI reveals discrepancies in WB school grading system
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 7, 2017 3:28 pm
  • Updated:September 7, 2017 3:28 pm

নন্দন দত্ত, বীরভূম:  স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট। অথচ উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলা ছাড়া বাকি সব বিষয়ে মিলল শূন্য। আরটিআই করে এমন অদ্ভুত নম্বর পেল সিউড়ির ইটাগড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আমিনা খাতুন। ওই ছাত্রীর দাবি পর্ষদের থেকে যে খাতা পেয়েছেন তা তাঁর নিজের হাতে লেখা নয়। যার ফলে একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল আমিনার। বিহিত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার। আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা।

[রাজ্য সরকারের কর্মীদের জন্য সুখবর, জানুয়ারিতে মিলবে ১৫% বকেয়া ডিএ]

Advertisement

সিউড়ির ফকিরপাড়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রী কলা বিভাগে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায় বাংলায় ৬৩, সংস্কৃতে ১, ইংরেজি এবং পলিটিক্যাল সায়েন্সে শূন্য পেয়েছেন আমিনা। এমন রেজাল্ট পেয়ে ছাত্রী  ও তাঁর পরিবার কার্যত ভেঙে পড়ে। এরপর অনেক আশা নিয়ে তারা রিভিও করেছিলেন। সেখানে দেখা গেল বাংলা বাদে বাকি বিষয়গুলিতে একই নম্বর এসেছে এবং যে বিষয়গুলিতে আমিনা শূন্য পেয়েছে তার প্রত্যেকেটা কিছু লেখা নেই। একেবারে সাদা। অভিভাবকদের দাবি আমিনা এত খারাপ ফল করতে পারে না। কারণ, স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে ৮৩ শতাংশ হিসাবে ৪১২ নম্বর পেয়েছিলেন আমিনা। সেই মেয়ে কী করে উচ্চ মাধ্যমিকে শূন্য পায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমিনার পরিবার। সর্বশিক্ষা দপ্তরের কর্মী আমিনার বাবা এহসান আলির দাবি অসুস্থ অবস্থায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিল মেয়ে। তাছাড়া স্কুলে খুব অমনোযোগী নয় ছাত্রীটি। সেখানে খাতায় কিছু লিখতে পারবে না তেমন হতেই পারে না।

Advertisement

[পুজোয় স্পেশাল বন্ধু চাই? ভরসা থাকুক এই অ্যাপেই]

এই নিয়ে ইটাগড়িয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এক্রামূল হকের বক্তব্য, অসম্পূর্ণ ফল প্রকাশের কারণ পিপিআর ফর্মে আমিনা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে জানতে চেয়েছিল। স্কুলের তরফে তাঁকে সবরকম সহযোগিতা করা হয়। প্রধান শিক্ষক মনে করেন তাঁর কোনও ছাত্রী শূন্য পাবে এমন হতে পারে না। তিনি আমিনাকে হতাশ না হয়ে পড়াশোনার মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ছবি-বাসুদেব ঘোষ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ