নন্দন দত্ত, বীরভূম: সময় বদলেছে। বদলেছে মানসিকতাও। আধুনিক শহুরে দম্পতিদের কাছে কন্যাসন্তান আর অবাঞ্ছিত নয়। কিন্তু, এ বঙ্গের শহরাঞ্চল আর কতটুকু! বেশিরভাগটাই তো গ্রাম। বীরভূমের সিউড়িতে স্রেফ দু’বার কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য পুড়ে মরতে হল এক গৃহবধূকে। অভিযোগ, কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন স্বামী। ঘটনায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাপের বাড়ি লোকেরা। ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ। বাকিরা পলাতক।
[মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে নিষিদ্ধপল্লিতে পাচারের চেষ্টা, গ্রেপ্তার মহিলা]
পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু, পুত্রসন্তানের বাবা হতে পারেননি সিউড়ির ভান্ডিরবন গ্রামের বাসিন্দা কাজল বাগদি। বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রথমবার গর্ভবতী হয়েছিলেন স্ত্রী সোনালি। কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে ফের আরও এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, দ্বিতীয়বার কন্যাসন্তান হওয়ার পরই শ্বশুরবাড়িতে সোনালির উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছিল। এমনকী, মেজ বউদির সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বামী কাজল বাগদি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রী নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির কাছে পুকুরপাড়ে সোনালিকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানা। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু, হাসপাতালে মারা যান সোনালি। স্বামী কাজল-সহ শ্বশুরবাড়ির সাতজনের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় এফআইআর করেছেন সোনালি বাগদির বাপের বাড়ির লোকেরা। মৃতার এক দেওরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক।
[বোনের বান্ধবীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ধৃত অভিযুক্ত]