নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এখনও জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারই মাঝে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অনুব্রতহীন বীরভূমের নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে জেলাস্তরে চলছে জোর চর্চা। তবে কর্মীরা সাফ জানান, “কেষ্টদা যা টেকনিক শিখিয়ে দিয়েছেন, সেই পদ্ধতি মেনেই এবারেও ভোট বৈতরণী পার করে দেব।” কোর কমিটির সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর মুখেও একই কথা।
অনুব্রত মণ্ডল সুদক্ষ সংগঠক। প্রতিটি নির্বাচনের বহু আগে থেকেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করতেন। ২০১৮ সালে গ্রামের বাইরে তিনি মশারি টাঙিয়ে রেখেছিলেন। নির্বাচন কমিশন বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে গৃহবন্দি করে রাখবে, তার ফোন জমা নেবে, তা আগে থেকেই জানতেন অনুব্রত। ভোটের প্রাক্কালে গুড়-বাতাসা বিলিও করার কথা বলেন। সেই মতো ব্যবস্থা করে জেলা বিরোধীশূন্য রেখেছিলেন। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল তিহাড়ে বন্দি। তাই অনেকেই বলছেন বীরভূমে ‘কেষ্টহীন’ ভোট যেন বেরঙিন।
[আরও পড়ুন: ‘খোকাবাবুর তথ্যেই গ্রেপ্তার একের পর এক নেতা’, নাম না করে অভিষেককে নিয়ে বিস্ফোরক অধীর]
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন। অথচ ভোট করানোর স্ট্যাটেজি এল না শাসক দল তৃণমূলের কাছ থেকে। জেলায় সশরীরে কেষ্ট ওরফে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল থাকাকালীন এমন অবস্থা হয়নি। যদিও অনুব্রত অনুগামী কর্মী-সমর্থকেরা জানিয়ে দেন, “কেষ্টদা যা টেকনিক শিখিয়ে দিয়েছেন, সেই পদ্ধতি মেনেই এবারেও ভোট বৈতরণী পার করে দেব।”
তাঁর অনুপস্থিতি খুব একটা বড় ফ্যাক্টর হবে না বলেই মত কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, “এ জেলার সংগঠনের দায়িত্বে স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই কর্মীরা উজ্জীবিত। সঙ্গে নজরদারি রেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ শুধু অপেক্ষায় আছে কবে তাঁরা আমাদের দু’হাত ভরে ভোটের বাক্সে আশীর্বাদ দেবেন।” তবে তিনি স্বীকার করেন, “কেষ্টদা জেলায় সংগঠনের যে ভিত গড়ে দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই আমাদের জোর।”