রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বুধবারই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) দাবি করেছিলেন গেরুয়া শিবিরকে রুখতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সেই সুরেই যেন সুর মেলালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন লকডাউন করে মুখ্যমন্ত্রী আদতে তাঁর হিন্দুবিরোধী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন বলেই তোপ দাগলেন তিনি। বাংলাজুড়ে পদ্ম ফুটবে বলেও ভারচুয়াল সভামঞ্চে মন্তব্য আশাবাদী নাড্ডার।
জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বৃহস্পতিবার আরও বলেন, “জনবিরোধী নীতি, মানবতাবিরোধী নীতি নিয়ে এগিয়ে চলেছেন মমতা। রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন বাংলায় লকডাউন (Lockdown) করেছিলেন তিনি। এটি তাঁর হিন্দুবিরোধী মনোভাবের পরিচয়।” তাঁর দাবি, ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন নির্বাচনে হিন্দু ভোটব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই রাম মন্দিরের মতো ইস্যুকে নিয়েই জনমানসে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। আবার ঠিক উলটো দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার অভিযোগে সরব বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য নতুন ১০০টি পার্ক তৈরির অনুমোদন রাজ্যের]
করোনা ইস্যুতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান জেপি নাড্ডা। তাঁর দাবি, করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে অবিচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার ইস্যুকে ফের উত্থাপন করেন বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের এ রাজ্যে ফেরার ক্ষেত্রে কার্যত বাধাই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ট্রেনগুলিকে সে কারণেই ‘করোনা এক্সপ্রেস’ বলে কটাক্ষও করেছিলেন তিনি।
রবীন্দ্রভারতীর পাঁচিল ভাঙচুরের ঘটনাতে এদিন রাজ্য সরকারকে একহাত নেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, “রবীন্দ্রনাথ কী ভেবেছিলেন। আর বাংলায় কী হচ্ছে। রবীন্দ্রভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মাও কাঁদছে।” বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।