সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দেশবিভাজনের ৭১তম বর্ষপূর্তি এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও গোপাল মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে সভার আয়োজন করেছে হিন্দু সংহতি। আর সেই কর্মসূচির আমন্ত্রণ পত্রে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আধিকারিক পরেশচন্দ্র দাসের ছবি-সহ নাম রাখা হয়েছে বক্তা হিসেবে। তাঁর অজ্ঞাতে তা করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরেশবাবু। নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, তাঁকে কেউ মৌখিক বা লিখিতভাবে এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি। বিনা অনুমতিতে এই কাজ করা অনুচিত হয়েছে ওই সংগঠনের। তাদের ভুল শুধরে নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সংগঠনের ওই কর্মসূচির প্রচার থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্যও ফেসবুকে লিখেছেন পরেশবাবু। তাঁর এই পোস্টের কয়েকঘণ্টা পরেই অবশ্য টনক নড়ে সংগঠনের কর্তাদের। পরেশবাবুর ফেসবুক পোস্টে নিচে কমেন্টে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে। আগামী ১৭ আগস্ট বর্ধমানের টাউন হলে ওই কর্মসূচির আয়োজন করছে হিন্দু সংহতি নামে ওই সংগঠনটি। তার কার্ডও বিলি করা হয়েছে। তাতে বক্তা হিসেবে সংগঠনের সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক আশিস সরকার, দুধকুমার মণ্ডল এবং পরেশবাবুর নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলে রবিবার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন পরেশবাবু।
সেখানে পরেশবাবু লিখেছেন, “আমাকে কেউই কিছুই মৌখিক বা লিখিতভাবে জানায়নি। আমার মনে হয় না জানিয়ে এভাবে কারওর বিনা অনুমতিতে এই কাজ করা উচিত নয়। আমি অনুরোধ করছি যারা এইকাজ করেছেন তারা তাদের ভুল শুধরে নিন এবং ওই প্রচার থেকে আমার নাম বাদ দিন। আমি দুঃখিত।” পরেশবাবুর এই পোস্টের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সংগঠনের তরফে পতিতপাবন ঘোষ কমেন্ট বক্সে গিয়ে বিষয়টির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন ও ক্ষমাও চেয়েছেন পরেশবাবুর কাছে। সংগঠনের তরফে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পরেশবাবুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলার জন্য। সেটা না হওয়ার ফলেই এমনটা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই সদস্য।