Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরুন নাহলে আরামবাগ অচল হবে’, প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের

‘আমাদের কর্মী খুন হচ্ছে, এখন ওনারা কোথায়’, বিদ্বজ্জনদের তোপ বিজেপি নেতার৷

BJP leader Sayantan Basu warns State Govt on workers death in Goghat
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 28, 2019 7:40 pm
  • Updated:July 28, 2019 7:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরামবাগের গোঘাটের কোটা এলাকায় দলীয় কর্মী কাশীনাথ ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক জানালেন, পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে খুনিদের না ধরতে পারলে আরামবাগ অচল করে দেওয়া হবে।

[ আরও পড়ুন: খামার থেকে গায়েব ভেড়া, অজানা জন্তুর পায়ের ছাপে বাঘের আতঙ্ক ঝাড়গ্রামে ]

Advertisement

রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান সায়ন্তন বসু৷ খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলেন শাসকদলকে৷ পুলিশ ও প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করে বলেন, “এখানে নৈরাজ্যের প্রশাসন চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে আমাদের ৮২ জন কার্যকর্তা খুন হয়েছেন। অথচ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমি শুনেছি, কাশীনাথকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল৷ তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। উনি যোগ দেননি। তাই খুন করা হয়েছে। ওঁর ফোনে সব কল রেকর্ডস রয়েছে।” অভিযোগ করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বিজেপি কর্মী কাশ্মীনাথ ঘোষকে৷ এবং এরপরই হুমকির সুরে বলেন, “আরামবাগের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। অথচ প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে কাশীনাথ ঘোষের খুনিদের ধরতে হবে। নাহলে আমরা আরামবাগ অচল
করে দেব। বনধ, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে সব স্তব্ধ হয়ে যাবে।” এখানেই শেষ নয়, এদিন আবারও বিদ্বজ্জনদের একাংশকে একহাত নেন সায়ন্তন বসু। জানতে চান, “যাঁরা জয় শ্রীরাম নিয়ে চিঠি দিচ্ছেন, তাঁরা এখন কোথায়? কাশীনাথের মতো মানুষের খুনের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখুন। তাঁরা কি এসব দেখতে পাচ্ছেন না? নাকি নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছেন?”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: এলাকায় তাণ্ডবের অভিযোগ, গয়েশপুরে গণপিটুনিতে মৃত দু্ষ্কৃতী ]

রবিবার সকালে কোটা এলাকার একটি নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী কাশীনাথ ঘোষের মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। কিন্তু দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দলের সক্রিয় কর্মী হওয়ার কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই ব্যক্তিকে। যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের
দাবি, দল কোনওভাবেই এহেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিজেপি অপপ্রচার করতে এসব রটাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী লালচাঁদ বাগের খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন কাশীনাথ ঘোষ। পুলিশের খাতায় এতদিন পলাতক ছিলেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ