Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘নৈতিক জয়’, বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলার রায় শুনে বার্তা ‘হতাশ’ বিজেপি নেতৃত্বের

‘আমরা প্রস্তুত’, রায়কে স্বাগত জানিয়ে পালটা দাবি শাসকদলের

BJP leaders are very disappointed over High Court's order on Bongaon
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 26, 2019 8:27 pm
  • Updated:August 26, 2019 8:28 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর বনগাঁ পুরসভায় পুনরায় আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট৷ আগের আস্থাভোটের ফলাফলকে খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়৷ সোমবারের এই রায় বিজেপির দাবি পূরণ করলেও, তা খুশি করতে পারেনি গেরুয়া শিবিরকে৷ তাই এই রায়কে  ‘নৈতিক জয়’ বলেই নিজেদের সন্তুষ্ট রাখছে গেরুয়া শিবির৷ বরং তাঁদের মতে, ‘হাই কোর্ট আরও আগে এই রায় দিলে, ভাল হত’৷

[ আরও পড়ুন: মহিলার ইশারায় সাড়া দিয়ে সিনেমা হলের ভিতরেই উদ্দাম যৌনতা, তারপর…]

Advertisement

জানা গিয়েছে, সোমবার হাই কোর্টের পুনর্নির্বাচনের রায় শুনেও, তেমন একটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেনি বনগাঁ বিজেপির নেতা-কর্মীরা৷ উলটে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘আদালতের এই রায়ে আমাদের নৈতিকভাবে জয় হল। এত দেরি করে রায় ঘোষণা না হলে, হয়ত পুলিশ আর তৃণমূল ভয় দেখিয়ে চার জন কাউন্সিলরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারত না।’’ অর্থাৎ রায়দানের সময় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি৷ একই মত, জেলার পদ্ম শিবিরের অন্যান্য নেতাদেরও৷ তাঁরাও কিছুটা মূর্ছা গিয়েছেন৷ একদিকে বিজেপি নেতৃত্ব যখন হতাশা প্রকাশ করছে তখন, রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শাসকদল৷ এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কোর্ট রায় দিয়েছে৷ আইন আইনের পথে চলবে৷ রায় শুনে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিজেপি অনাস্থা আনার চেষ্টা করেছে৷ আনুক, আমরা প্রস্তুত আছি৷’’ সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন চার কাউন্সিলর অভিজিৎ কাঁপুড়িয়া, হিমাদ্রি মণ্ডল, কার্তিক মণ্ডল ও দিলীপ মজুমদার৷ ফলে বর্তমানে বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা ৭ ও তৃণমূলের ১৪।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘ডিম কোথা থেকে দেব?’, মিড-ডে মিলের পরিবর্তিত মেনু দেখে থ মুখ্যমন্ত্রী নিজে ]

প্রসঙ্গত, ৭ই জুন বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে বেআইনি কাজকর্ম স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলে পুরসভার ১৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলর৷ মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা চিঠি দেন তাঁরা৷ এরপর ১৮ জুন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করেন৷ দিল্লী থেকে ফিরে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে ওই কাউন্সিলররা বনগাঁ পুরসভার প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ওই কাউন্সিলররা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির ডাক দেন। সেই ভোটাভুটির আগেই একজন কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে যান। ভোটা-ভুটির দিন পৌরসভা এলাকায় বোমাবাজি গোলমালের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, বিজেপি কাউন্সিলরদের ভোট দিতে দেয়নি পুলিশ ও শাসকদল৷ এরমধ্যে ৯ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে চেয়ারম্যানের পদে বসেন শংকর আঢ্য৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘তারাই আস্থা ভোটে জয়লাভ করেছেন৷’’ পাল্টা বিজেপির কাউন্সিলররা দাবি করেন তারাই জিতেছেন। মীমাংসার জন্য ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি কাউন্সিলররা। সোমবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ