জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: উপনির্বাচনে প্রার্থী পছন্দ নয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদল না করলে বড়সড় বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা পেরতেই বিক্ষোভ নয়, দলের পদ ছেড়ে দিলেন বাগদার দুই বিজেপি নেতা। আর তাঁদের পদত্যাগের পর ভেঙে গেল মণ্ডল কমিটি। আর বিজেপির এই গোষ্ঠীকোন্দলকে কাজে লাগাতে ছাড়েনি তৃণমূল। বনগাঁয় দলের সাংগঠনিক সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের কটাক্ষ, এই কারণেই উপনির্বাচনে ওদের ভরাডুবি হবে। তৃণমূলের জয় আটকানো যাবে না।
আগামী ১০ জুলাই বাগদা-সহ (Bagdah) রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (WB By-Elections)। যার মধ্যে একটি বাগদা। এই আসনের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস পদত্যাগ করে লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রের প্রার্থী হন। ফলে আসনটি এখন বিধায়কশূন্য। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মতুয়া সম্প্রদায়ের আঁতুড়ঘর ঠাকুরবাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুর। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) লড়াইয়ে এগিয়ে দিয়েছিল বিনয়কুমার বিশ্বাস নামে একজনকে। এই প্রার্থী ‘বহিরাগত’ বলে তাঁকে মেনে নিতে চায়নি জেলা বিজেপির একটা বড় অংশ। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থী বদল না করা হলে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকে। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
যেমন কথা, তেমন কাজ। ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা ফুরিয়ে যেতেই পদত্যাগ করলেন বিজেপির বাগদা ২ মণ্ডলের সভাপতি সমীর কুমার বিশ্বাস। তাঁর পদত্যাগের পর ইস্তফা দেন বাগদা ২ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় দাস। ফলে মণ্ডল কমিটিই ভেঙে যায়। বাগদা ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সমীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ”আমরা দাবি জানিয়েছিলাম বাগদার ভূমিপুত্রকে এবারে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু সেই জায়গায় অন্য একজনকে প্রার্থী করা হল। সেই কারণে পদত্যাগ করলাম।” এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ”এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। প্রার্থী নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছে। উপনির্বাচনে ওদের ভরাডুবি হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.