Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

নিচুতলায় নেতার খোঁজ শুরু, বুথকর্মীদের তথ্যই অমিল পদ্মে

তিনশো দিনে ৩০ জনের ফর্মুলা।

BJP leaders worried about booth level party structure in West Bengal

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 20, 2022 1:45 pm
  • Updated:December 20, 2022 1:45 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ‌্যায়: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর লোকসভা ভোট। অধিকাংশ বুথে কমিটি হয়নি। অর্ধেকের বেশি বুথের সভাপতি কারা তার কোনও তথ‌্যই নেই রাজ‌্যদপ্তরে। সেখানে কতজন লোক আছে তারও কোনও হিসেব নেই। নিচুতলায় কর্মীদের কাছে যাওয়ার জন‌্য অমিত শাহর (Amit Shah) বার্তার পরই তাই স্থানীয়স্তরে এবার নেতা খুঁজতে নেমে পড়ল বিজেপি। সময় তিনশো দিন। তার মধ্যে খুঁজে আনতে হবে ৩০ জনকে।

মূলত, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই তিনশো দিনের এই ফর্মুলা তৈরি করেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। তাই মণ্ডলের নেতাদেরই বুথের নেতা-কর্মী খোঁজার দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হাতে যেটুকু সময় আছে তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি বুথে সক্রিয় কমিটি তৈরি করা যে কার্যত অসম্ভব এমনটাই জেলাস্তর থেকে রিপোর্ট গিয়েছে রাজ্যের কাছে। যা বঙ্গ বিজেপির চিন্তার মেঘ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আপনার নেতৃত্বে প্রযুক্তিতে উন্নতি করেছে ভারত’, মোদিকে বললেন গুগল CEO]

নিচুতলার সংগঠনের বেহাল অবস্থা মেরামত কীভাবে করা যায় তার রাস্তা বের করতে হিমশিম গেরুয়া শিবিরের নেতারা। নিচুতলায় যে রাজ‌্য নেতা থেকে সাংসদ—বিধায়করা যাচ্ছেন না, তা গত শুক্রবার বিজেপির রাজ‌্যদপ্তরে কোর কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহ বলেছেন নিচুতলায় কর্মীদের কাছে যেতে হবে। আর শাহর এই ঝাঁকুনির পরই টনক নড়েছে রাজ‌্য বিজেপি নেতাদের। তাই এবার স্থানীয় নেতৃত্বকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হতে চলেছে। রাজ‌্য বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধনদ দলীয় বৈঠকে নতুন ফর্মুলা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সতীশ বলেছেন, প্রতি বুথে ৩০ জন কার্যকর্তা তুলে আনতে হবে। একজনকে দু’টি বুথের দায়িত্ব দিতে হবে।

Advertisement

এদিকে, গত শুক্রবার হুগলিতে রাজ‌্য বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকে পুরনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কিনা বি এল সন্তোষের এই প্রশ্নে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে যান জেলা ইনচার্জরা। আবার বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, জেলা ইনচার্জরা নিচুতলায় ঠিকমতো ‘প্রবাস’ করছেন না। দলীয় সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে বুথের পুরনো নেতা—কর্মীদের খোঁজ শুরু হয়েছে। আগে যাঁরা সভাপতি ছিলেন, তাঁদের অধীনে যে কমিটি ছিল। কিন্তু সেই তালিকা পেতেও হিমশিম অবস্থা। অনেকের সঙ্গেই দলের যোগাযোগ নেই। কেউ আবার গেরুয়া শিবির ত‌্যাগ করে নাম লিখিয়েছেন শাসকদলে।

[আরও পড়ুন: পুরনো মামলায় পুলিশি হেফাজত, এখনই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি]

সম্প্রতি সাংগঠনিক বৈঠকে বি এল সন্তোষ রাজ‌্য বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে কার্যত সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দলের সংস্কৃতি পুরনোদের সম্মান করা। কিন্তু দলের আদি নেতাদের অভিযোগ, পুরনোদের সম্মান তো দূরে থাক, রাজ‌্য বিজেপির বর্তমান পদাধিকারীদের অধিকাংশই পুরনোদেরই সম্মান দিয়ে ডাকছে না পার্টির কাজে। পদে রাখা তো দূরের বিষয়। দলের বিক্ষুব্ধ অংশের বক্তব‌্য, রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শিক্ষিত, ভাল মানুষ। কিন্তু পুরো দলটা পরিচালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ