BREAKING NEWS

১৯ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শনিবার ৩ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বাংলা সফরে এসে ষোড়শ উপাচারে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো অমিত শাহের

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: June 28, 2018 3:25 pm|    Updated: June 28, 2018 3:32 pm

BJP president Amit Shah visits Tarpith temple

সংবাদ প্রতিদি ডিজিটাল ডেস্ক:  বাংলায় এসে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিলেন নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি অমিত শাহ৷ দু’দিনের রাজ্য সফরে শেষবেলায় তারা মায়ের পুজো দিয়ে বৃহস্পতিবারের রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি৷ মন্দিরে নিরাপত্তা রক্ষীদের আঁটসাঁট বেষ্টনীর মধ্যেই গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো দেন তিনি৷

[গরুর গাড়িতে ধাক্কা বাইকের, কেতুগ্রামে পিটিয়ে খুন যুবককে]

অমিত শাহের সফর ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই তারাপীঠের নিরাপত্তা কয়েক দফা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরাল করে তোলা হয়৷ মন্দির চত্বরে প্রতিটি বাড়ির ছাদে, উঠোনে, ব্যালকনির দখল নিতে শুরু করেন অমিত শাহের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা৷ রীতিমতো রাজকীয় ভঙ্গিমায় সাইরেন বাজিয়ে মন্দিরের নীরবতা ভেঙে প্রবেশ করেন বিজেপি সভাপতি৷ এদিন মন্দির চত্বরে জনসমাগম বাড়িয়ে সভাপতিকে স্বাগত জানায় বিজেপি নেতৃত্ব৷

আজ, বৃহস্পতিবার বিশেষ পূর্ণিমা তিথিতে রাজবেশে তারা মায়ের পুজো হয়। পুজোর উপচার হিসাবে ছিল ১০৮টি লালপদ্ম, ১০৮ রক্তজবা, রজনীগন্ধা, কর্পূর, অগুরু, হলুদ কল্কে ফুল, অতসী ফুল ও বেনারসি শাড়ি। উপচার সাজিয়ে পাঁচজন পুরোহিত অমিত শাহকে নিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকেন। মিনিট দশেক বাদে বিজেপির এই শীর্ষনেতা মন্দির থেকে পুজো দিয়ে বেরিয়ে আসেন। পুরোহিতদের ওই প্রতিনিধিদলের সদস্য পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তারাপীঠ মন্দিরকে যাতে হেরিটেজ হিসাবে কেন্দ্র ঘোষণা করে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাঁর কাছে সেই আবেদন রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে অসমের কামাখ্যা মন্দিরকে রেলপথে জোড়ার জন্য শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাতে রামপুরহাট স্টপেজে থামে সেই আবেদনও রাখা হয়েছে।” মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিজেপির এই শীর্ষনেতাকে তারা মায়ের একটি ছবি ও শতাব্দীপ্রাচীন তারাপীঠের ইতিহাস সম্বলিত কতগুলি বই তুলে দেওয়া হয়। মায়ের কাছে প্রার্থনার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও শুধু বলেন, “এভাবে পুজো দিতে পেরে আমি খুশি।”

[দিঘার সৈকতে পর্যটকদের সুরক্ষিত রাখতে আসছে নয়া অ্যাপ]

তবে,  এই সফরের কারণে মন্দিরে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন পুণ্যার্থীরা৷ হোটলে থাকা নিয়েও ভোগান্তিতে পড়েছেন ভিনরাজ্য থেকে  আসা ভক্তরা৷ দু’সপ্তাহের ছুটি নিয়ে  দিল্লি থেকে বারাসতে এসেছিলেন সঞ্জীব হালদার৷ বাড়িতে দু’দিন বিশ্রাম নিয়ে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠে পুজো দিতে যান তিনি৷ কিন্তু, বুধবার সন্ধ্যায় মন্দির চত্বরে পৌঁছাতেই শুরু হয় দুর্ভোগ৷ হোটল ভাড়া নিতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে৷পরে সকালে পুজো দিতে গিয়ে চূড়ান্ত সমস্যার মুখোমুখি হন তিনি৷ এ প্রসঙ্গে সঞ্জীব হালদারের মন্তব্য, ‘‘কাল যখন এলাম, তখন হোটেল ভাড়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম৷ সকালে পুজো দিতে গিয়ে দেখি, মন্দির দখল করে রেখেছে পুলিশ৷ পুজোর লাইনেও লম্বা ভিড়৷’’ শুধু সঞ্জীববাবুই নন, এমন সমস্যায় পড়েছেন অন্যান্য ভক্তরাও৷

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে