Advertisement
Advertisement
সায়ন্তন বসু

হারের পর রাজনীতি ছাড়ছেন সায়ন্তন? ফেসবুক পোস্টে বাড়ল জল্পনা

‘ব্যাটন’ হস্তান্তর করার মতপ্রকাশ বসিরহাটের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তনের।

BJP's Sayantan Basu sparks speculation with Facebook post
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 26, 2019 10:04 am
  • Updated:May 26, 2019 10:04 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য ভোটে হেরেছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। মন ভাল নেই, বোঝা গেল তাঁর ফেসবুক পোস্টেই। তাতে ইঙ্গিত, তিনি রাজনীতির ময়দান থেকে সরে যেতে চাইছেন। শনিবার সকাল নাগাদ সায়ন্তন বসু এক ফেসবুক পোস্টে তাঁর রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। আর তারপর থেকেই সেই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

[আরও পড়ুন:  মাথাভাঙায় ‘আক্রান্ত’ বনমন্ত্রী, হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে]

Advertisement

নিজের ফেসবুক পেজে বসিরহাটের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী লিখেছেন, “বহুদিনের পুরনো একটি স্বপ্ন আজ বাস্তব হতে চলেছে। আগামী বছর বা তার আগে, আমরা বিজেপির নেতৃত্বে একটি নতুন রাজ্য সরকার পাব। ব্যক্তিগতভাবে আমি ১৮ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আজ আমাদের গাড়ি পূর্ণ গতিতে চলছে। আমি এখন অন্য কারও হাতে ব্যাটন তুলে দিতে তৈরি।” জল্পনা আরও প্রগাঢ় হয়েছে সায়ন্তনের এই ‘ব্যাটন’ শব্দটি ঘিরে। পোস্টে একেবারে স্পষ্ট করেই সায়ন্তন উল্লেখ করেছেন, তাঁর ‘ব্যাটন’ হস্তান্তর করার বিষয়টি। তা হলে কি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছেন সায়ন্তন? আর তা কি বসিরহাট কেন্দ্রে বিপুল ভোটে হারের কারণেই? এই প্রশ্ন কিন্তু তুলেছেন অনেকেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোচবিহারে ‘গদ্দার’ কে? প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে]

এপ্রসঙ্গে সায়ন্তনের বক্তব্য, “যা বলার দলের মধ্যেই বলব।” দিলীপ ঘোষ  সভাপতি হওয়ার পর রাজ্য বিজেপিতে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সায়ন্তনের উত্থান। তার আগে দিল্লিতে দলের যুব মোর্চার সর্বভারতীয় পদে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৪ লোকসভা ভোটে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ। তারপর ধূমকেতুর মতো উত্থান। এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে সায়ন্তন নিঃসন্দেহে অন্যতম প্রভাবশালী মুখ। তাই তাঁর এই আচমকা মন্তব্যে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে দলের অভ্যন্তরে। গত বৃহস্পতিবার দেশের সপ্তদশ দফা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ফলাফল বেরতেই রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যাতে রীতিমতো মুষড়ে পড়েছে ঘাসফুল। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিই গেরুয়া শিবিরের দখলে। অন্যদিকে, বছর ঘুরতেই বিধানসভা। বাংলায় গেরুয়া জয়ধ্বজা ওড়ানোর চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এহেন অবস্থায় রাজ্যের বিজেপি সংগঠনকে আরও পোক্ত করতে সায়ন্তনের মতো একনিষ্ঠ সদস্য যে দরকার, এমন কথা বলছেন অনেকেই। তাই তাঁর শনিবারের পোস্ট ঘিরে বেশ উৎকণ্ঠায় বাংলার গেরুয়া সমর্থকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ