সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়াল বীরভূমের লাভপুরে। রবিবার দুপুর নাগাদ কুর্ণাহার এলাকায় বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে এলাকাবাসী চমকে ওঠেন। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে সকলে দেখেন, এলাকারই এক পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। দমকলে খবর দেওয়া হয়। খবর যায় লাভপুর থানায়ও। তড়িঘড়ি দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। দমকল সূত্রে খবর, বাড়িটিতে প্রচুর বাজি মজুত ছিল। গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে বাজিতে আগুন ধরে এত বড় দুর্ঘটনা। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই এখনও পর্যন্ত।
[বিজেপির বাইক মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে অশান্তি]
আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পর দেখা যায়, এদিন বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের একটি বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। দেওয়ালের একাংশ ধসে পড়েছে। আগুন ছড়িয়ে গিয়েছে অন্তত ৩টি বাড়িতে। সামনে থাকা একটি বাইকেও আগুন ধরে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এই এলাকাটি বাজি পাড়া নামেই পরিচিত। সারাবছরই এখানে বাজি তৈরি হয়, মজুত করা হয়। যে কোনও কিছুতে বাজি প্রয়োজন হলে, এই কুর্ণাহারেই বাজি কিনতে যান লাভপুর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই বাড়িতে বেআইনিভাবে অনেকটাই বাড়তি বাজি মজুত ছিল, যার জন্য এত ভয়াবহ আকার নিয়েছে আগুন। দমকল কর্মীদেরও আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। যে মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেসময় কেউ ওই বাড়িতে না থাকায় প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও, বিস্ফোরণে শব্দে এখনও আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ভয় কাটছে না অনেকেরই। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে লাভপুর থানার পুলিশ।
[পাকিস্তানের মাটিতে এয়ারস্ট্রাইক ‘ভুয়ো’, বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ]
এর আগেও বেআইনিভাবে বাজি মজুত করায় রাজ্যের বহু জায়গায় এমন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। বছর তিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্রাহ্মণবেড়িয়ার বেআইনি বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গিয়েছিল বেশ কয়েকজনের। সম্প্রতিও রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এধরনের খবর মিলেছে। এসব থেকে শিক্ষা নিয়েও বেআইনিভাবে বাজি কারখানা চালানো বা বাজি মজুত রাখার ব্যাপারে কেউ সতর্ক হয়নি। এদিন লাভপুরের কুর্ণাহারের অগ্নিকাণ্ডই তার প্রমাণ।