Advertisement
Advertisement

এবার নীল তিমির হানার শঙ্কা বাঁকুড়ায়, কবলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র

কেন এই উন্মাদনা? উঠছে প্রশ্ন।

Blue Whale finds another victim in Bankura!
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 2, 2017 5:28 am
  • Updated:October 1, 2019 1:58 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীল তিমির হানার সন্দেহে তোলপাড় বাঁকুড়া। রাঢ়বঙ্গের এই জেলার ক্রিশ্চান ডাঙা এলাকায় ‘ব্লু হোয়েল’-এর কবলে পড়েছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। এমনটাই মনে করছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ প্রতিবেশীরা ১৭ বছরের ওই ছাত্রকে ‘ব্লু হোয়েল’ নিয়ে আলোচনা করতে শোনে। অভিযোগ, হাত কাটার কথাও ফোনে বলছিল ছাত্রটি। পড়শিরাই ছাত্রের পরিবারকে খবর দেন। অভিভাবকরা ওই কিশোরের থেকে ফোনটি কেড়ে নেন। এরপর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে ছাত্রটি। খবর যায় পুলিশের কানে। পুলিশ এসে ছাত্রটিকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর কাউন্সিলিং করা হয়। পরে আবার তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল ছেলেটির। সেই টানাপোড়েনে মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিশোর। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সে কারণেও হাত কাটার কথা বলে থাকতে পারে সে। কিন্তু ‘ব্লু হোয়েল’-এর হানার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

[বারাসতের পর হুগলিতে ‘নীল তিমি’র থাবা, নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা ছাত্রের]

Advertisement

মারণ এই নীল তিমি চ্যালেঞ্জ ক্রমশ চেপে বসছে রাজ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতার পর ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের শিকার হয় বারাসত গার্লস হাইস্কুলের একাদশ ও নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী। তাদের মধ্যে এক ছাত্রী আবার গেমের প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়েও পৌঁছে গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত স্কুলের প্রধানশিক্ষিকার সচেতনতার কারণে রক্ষা পায় ওই দুই ছাত্রী। শুক্রবারই হুগলির মাহেশে রামকৃষ্ণ মিশনের এক ছাত্রকে কোনওমতে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এই মারণ খেলা থেকে। জানা গিয়েছে, ‘ব্লু হোয়েল’ চ্যালেঞ্জের ‘লেভেল ইলেভেন’ পর্যন্ত খেলে ফেলেছিল ওই ছাত্র। তারপরেই শিক্ষকদের চোখে ধরা পড়ে যায়। বাড়ির লোকেদের সাথে কথা বলে কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করা হয় ছাত্রটির। নিজের দোষ স্বীকার করেছে সে। জানিয়েছে, এই ফাঁদে আচমকাই নাকি পড়ে গিয়েছিল।

রাজ্যে নীল তিমি’র প্রভাবে উদ্বিগ্ন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এরকম মারণ খেলার হাত থেকে বাঁচাতে পড়ুয়াদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর রাশ টানতে হবে অভিভাবকদের। পাশাপাশি, স্কুল-কলেজে যেন ছেলেমেয়েরা মোবাইল ব্যবহার না করে, সেদিকে শিক্ষকদের বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষকরাও যেন পড়ানোর সময় মোবাইলে কথা না বলেন, সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

[ব্লু হোয়েলকে আটকাবেন কি করে, পথ দেখাচ্ছে Unicef]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ