রাজা দাস, বালুরঘাট: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একশো কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির খতিয়ান। সেই সম্পত্তির মালিক বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন শীল। এমনটাই হোয়াটসঅ্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে। এহেন বার্তাকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করে ওই হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন রাজেন শীল।বালুরঘাটে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। গোটা ঘটনায় দলের অন্দরের দিকেই প্রথমে অভিযোগের আঙুল তোলেন রাজেনবাবু। পরে অবশ্য নিজের অবস্থান একটু বদলে ফেলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
সামনেই বালুরঘাট পুরসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে তাঁকে হেনস্তা করতেই কেউ বা কারা এই হোয়াটসঅ্যাপটি বাজারে ছড়িয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন চেয়ারম্যান। ভাইরাল হওয়া পোস্টে দেখা যাচ্ছে, সমাজ বিরোধী ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে রাজেন শীলের ওঠাবসা। বিগত তিন চার বছরে তিনি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এমনটাই ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তা এখন বহু হাত ঘুরে হোয়াটসঅ্যাপেও জায়গা করে নিয়েছে। তিন পৃষ্ঠার এই চিঠি সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে। রাজেনবাবুর বিরুদ্ধে প্রায় ১৫টি দুর্নীতির প্রসঙ্গ সেখানে বর্ণিত হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য নয়ডাতে পাঁচতারা হোটেল। সেখানে কালো টাকাকে সাদা করার কারবার। বালুরঘাটের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতির কারবার চালাতেন পুরপ্রধান। টাকার বিনিময়ে অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ড্রাগ ও মহিলা পাচারেও তাঁর নাম রয়েছে। সবটাই তিন পাতার চিঠিতে উল্লেখিত হয়েছে। তবে গোটা চিঠিতেই নাম গোপন রেখেছেন অভিযোগকারী। ইতিমধ্যেই এমন চিঠি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ঘরেবাইরে ভাইরাল হওয়া পোস্ট নিয়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে পুরপ্রধানকে। এদিকে সামনেই নির্বাচন, আগেই এই ঘটনা তাঁর ভাবমূর্তিকে যাতে খর্ব করতে না পারে তাই নিজেই নেমে পড়েছেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া চিঠিটি আসলে মিথ্যা প্রচার। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেই এটা করা হচ্ছে। এই চিঠির বয়ানের সঙ্গে বাস্তবের কোনও সাদৃশ্য নেই। তাঁর আমলেই বালুরঘাট পুরসভা উন্নয়নের নিরিখে সেরা হয়েছে। আসলে এসব করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই এলাকার তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষের কাছে নালিশ জানিয়েছেন রাজেন শীল। জেলা সভাপতির কাছেও দরবার করেছেন। সেই সঙ্গে কে বা কারা এই হোয়াটসঅ্যাপের পিছনে রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে পুলিশের দারস্থ হয়েছেন তিনি। দোষীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন। যদিও পুরপ্রধানের করা অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি বিরোধীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.