ছবি: প্রতীকী
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: তৃণমূল (TMC) কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযু্ক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মহম্মদ আলি। বাড়ি রায়গঞ্জের কৃষ্ণমুড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার, সাধারণতন্দ্র দিবসের সকালে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নাম করে মহিপুর পঞ্চায়েতের মহিরাজা এলাকায় যান তিনি। দুপুরে ফোনে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে কথা বলেন মহম্মদ। জানান, সন্ধেয় বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক রয়েছে। একবারে রাতে ফিরবেন তিনি। কিন্তু অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি ওই প্রৌঢ়। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় খোঁজাখুজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। তাতেও লাভ হয়নি। হদিশ মেলেনি মহম্মদের। বুধবার সকালে মহারাজা এলাকার একটি ভুট্টা খেতে নেমে কৃষকরা দেখেন, সেখানে মহম্মদের দেহ পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের শরীরে মোট ২ টি গুলি লেগেছিল। ঘটনাস্থলে আরও একটি গুলি মিলেছে।
এবিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মানস ঘোষ বলেন, “মৃত মহম্মদ আলি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” যদিও মৃত প্রৌঢ় রাজনীতিতে জড়িত নয় বলেই দাবি পুলিশের। সূত্রের খবর, একটি গ্যাস সিলিন্ডার প্ল্যান্টে লেবার সাপ্লাই করতেন মহম্মদ। অনেকের ধারণা, সেই নিয়ে অশান্তির কারণেই এই খুন। মহম্মদের এই পরিণতির পিছনে রাজনীতি নাকি অন্য কারণ দায়ী তা দ্রুতই প্রকাশ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.