Advertisement
Advertisement

জামাই আদরে হাসিমুখেই হাজার টাকার ইলিশ কিনছে বাঙালি

জামাইষষ্ঠীর চড়া বাজারে হাত পুড়ছে শাশুড়ির৷ সবজি, ফল তো ছিলই, এবার সব চেয়ে বেশি চমকে দিয়েছে ইলিশ৷ বরফের থেকে বের করে আনা মাছের আগুনে দাম৷ চার থেকে পাঁচশো গ্রামের মাছ বিকোচ্ছে কেজি প্রতি হাজার টাকায়৷ তাও অমিল৷ কলকাতার বাজারে যদিও কিছু ইলিশ মিলছে, জেলায় তাও নেই৷ আসলে গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের ইলিশ আসছে না৷ আর এই সময় রাজ্য সরকারের আইন অনুযায়ী সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকে৷ তাই জোগান কম৷ যেটুকু মাছ হিমঘর থেকে আসছে তার দাম চড়া৷ পাশাপাশি বর্ষা কম হওয়ায় ভেড়ির মাছ এখনও তেমন উঠছে না৷ আজ শুক্রবার জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়িদের কপালে ভাঁজ৷ দুপুরে বা রাতে খাবার টেবিলে বসে জামাইরাও যে খুব খুশি হবেন তাও বলা যাচ্ছে না৷

Bongs are buying hilsa worth rupees 1000
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 10, 2016 10:39 am
  • Updated:June 10, 2016 10:39 am

স্টাফ রিপোর্টার: জামাইষষ্ঠীর চড়া বাজারে হাত পুড়ছে শাশুড়ির৷ সবজি, ফল তো ছিলই, এবার সব চেয়ে বেশি চমকে দিয়েছে ইলিশ৷ বরফের থেকে বের করে আনা মাছের আগুনে দাম৷ চার থেকে পাঁচশো গ্রামের মাছ বিকোচ্ছে কেজি প্রতি হাজার টাকায়৷ তাও অমিল৷ কলকাতার বাজারে যদিও কিছু ইলিশ মিলছে, জেলায় তাও নেই৷ আসলে গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের ইলিশ আসছে না৷ আর এই সময় রাজ্য সরকারের আইন অনুযায়ী সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকে৷ তাই জোগান কম৷ যেটুকু মাছ হিমঘর থেকে আসছে তার দাম চড়া৷ পাশাপাশি বর্ষা কম হওয়ায় ভেড়ির মাছ এখনও তেমন উঠছে না৷ আজ শুক্রবার জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়িদের কপালে ভাঁজ৷ দুপুরে বা রাতে খাবার টেবিলে বসে জামাইরাও যে খুব খুশি হবেন তাও বলা যাচ্ছে না৷
নিয়ম অনুযায়ী এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মধ্যভাগ পর্যন্ত নদী থেকে সাগরে জেলেদের মাছ ধরা নিষিদ্ধ৷ এই সময় যে হেতু প্রজননের সময় তাই এই সিদ্ধান্ত কয়েকবছর আগে থেকেই লাগু করেছে সরকার৷ ফলে টাটকা সামুদ্রিক মাছ পাতে পড়ার কোনও আশা নেই৷ ইলিশ যেটুকু বাজারে আসছে তা হিমঘরের৷ কলকাতা লাগোয়া কিছু হিমঘর বর্ষার সময় ইলিশ মজুত করে রাখে কম দামে৷ সেই মাছ পরে ছাড়া হয় বাজারে৷ অর্থাত্‍ আজ জামাইদের পাতে পড়বে গত বছরের ইলিশ৷ যার দাম কেজি প্রতি হাজার টাকা ছুঁয়েছে এবার৷ তাও কিনছে হুজুগে তথা মৎস্যমুখী বাঙালি৷ নামখানা ফিসারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, আমরা এখন মাছ তুলছি না৷ জমানো মাছেই জমিয়ে খেতে হবে জামাইদের৷ রাজ্যে প্রায় ৩০টি হিমঘর তার জোগান দিচ্ছে আপাতত৷
রাজ্যে ভেড়ির প্রথম পর্যায়ের মাছ উঠেছে৷ একটু জলদি যারা চাষ শুরু করেছিলেন তাঁরা মাছ তুলতে পেরেছেন৷ তবে সব ভেড়িতে তো জল নেই৷ বিশেষ করে যে সব এলাকা বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল সেখানে চাষ পুরোদমে শুরুই হয়নি৷ কেন না এখনও সেভাবে বৃষ্টি হয়নি যা সব ভেড়ি ভরিয়ে দিতে পেরেছে৷ ফলে জোগান কম৷ আর একটি বিষয় এবারের বাজারের উল্লেখযোগ্য দিক৷ গলদা বা বাগদা চিংড়ির চেয়ে ভেনামির রমরমা৷ যা বাংলার মাছ বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে৷ যেমন তেলাপিয়ার পর লাইলনটিকা, পমফ্রেটের পর একই দেখতে মোটা পেটের সামুদ্রিক ‘বাউল’ এবং এখন জাপানি পুঁটিকে প্রায় সরিয়ে রূপচাঁদ৷ তেমনই বাজারে বাংলার চিংড়িকে হারিয়ে দিয়েছে সমদর্শনের ভেনামি৷ তাও সেই মাছ কেজি প্রায় চার থেকে পাঁচশো টাকা৷ জামাইষষ্ঠীর বাজারে আম-জামের কদর বরাবর ছিলই৷ এবার মাছের বাজারে চাহিদার সামান্য পরিবর্তনের কারণ হিসাবে দিঘা ফিশারম্যান ও ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “মাছ ধরা এখন বন্ধ৷ পমফ্রেট, ইলিশ নেই৷ চিংড়ির জোগান কম৷ তাই যা মিলছে তাই দিয়ে জামাইয়ের রসনা তৃপ্তিতে খামতি রাখতে চাইছেন না কেউ৷ ফলে দাম তো বাড়বেই৷”
আর একটি বিষয় শাশুড়িদের মাথায় রাখতে হচ্ছে এবার৷ মিষ্টি দোকানে গিয়ে সুগার ফ্রি সন্দেশ থেকে নানা রকম চাইতে হচেছ তাঁদের৷ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, তাঁরাও নতুন সমস্যার মুখোমুখি৷ ডায়াবেটিক মানুষ যে হারে বাড়ছে তাঁদের সেদিকে তাকিয়ে বদলাতে হচ্ছে সব কিছু৷ তবে রক্ষা এটাই, ভারতকে ছাড়িয়ে সদ্য ভিয়েতনাম এগিয়ে গিয়েছে এই দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি সুগারওয়ালা দেশ হিসাবে৷
হোক না ইলিশ হাজার টাকা, জামাইষষ্ঠীর আগে এটাই বোধহয় মিষ্টি খবর৷‬

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ