সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: অবশেষে মৃত্যুকে হার মানিয়ে কাজে যোগ দিলেন শ্যামপুর থানার ওসি সুমন দাস। গত ৫ জানুয়ারি রাতে শ্যামপুর থানার বাড়গ্রামের মুনসিপাড়ায় একটি মামলার অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন সুমনবাবু। তাঁকে রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় এবং রড ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। তাঁর সহকর্মীরা সেদিন কোনওভাবে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। সুমনবাবু মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ৪৮ দিন ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ১১ দিন তিনি কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তিনি সুমনবাবুর পরিবারের সঙ্গেও নিয়মিতভাবে কথা বলতেন। সুমনবাবুকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য তিনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছিলেন। সুমনবাবুর পাশে ছুটে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ।
[বাসি বিয়ের খাওয়া নিয়ে বচসা, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী পাত্র]
নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়িতেও দীর্ঘদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের মধ্যে সুমনবাবুর চিকিৎসা চলে এসেছে। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বমহিমায় ফিরে আসতে প্রায় আট মাস সময় লাগল। যদিও তাঁর শারীরিক সক্ষমতা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁকে এখন ফিজিওথেরাপি করা হচ্ছে। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে তাঁর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, সুমনবাবু চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্যই তাঁকে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর বাঁ হাতে কিছুটা সমস্যা আছে। তবে সেই সমস্যা কিছুদিনের মধ্যেই মিটে যাবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর পুরনো কর্মস্থল শ্যামপুর থানায় ফিরে এসে সহকর্মীদের অভিনন্দন গ্রহন করেন সুমন দাস। তিনি বলেন অসংখ্য মানুষের শুভকামনার জন্যই তিনি আবার শ্যামপুরবাসীর মধ্যে ফিরে আসতে পেরেছেন। তাই তিনি সকলকে তাঁর কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি। তাঁকে ফিরে পেয়ে তাঁর সহকর্মীরা স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত।
[খন্ডঘোষে স্বাধীনতা সংগ্রামী বটুকেশ্বর দত্তর জন্মভিটেয় পর্যটন কেন্দ্র]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights