প্রতীকী ছবি
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের দুপুরে তরুণী ‘খুন’। বিধবা বউদিকে ‘খুন’ করে পালাল দেবর। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাজিলপুর গ্রামে। মৃতার নাম সবিস্তা দাস(২৮)। অভিযুক্ত যুবক অনিত্য দাসের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সবিস্তা দাসের স্বামীর। সেই ঘটনার পর থেকেই রায়গঞ্জের জগদীশপুরের রুনিয়ার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে শীতগ্রামের বাবার বাড়িতে তিন শিশু সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। ওই বাড়িতে তাঁর দাদার ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে সবিস্তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনরাও নিমন্ত্রিত ছিলেন। এদিন সকাল থেকেই বাড়িতে রান্নাবান্না চলছিল। এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জল খাওয়ার জন্য বিধবা বউদির ঘরে ঢুকেছিল দেবর অনিত্য দাস। খাবার জল নিয়ে সেই ঘরে যান ওই বিধবা তরুণী।
অন্যদের চোখ এড়িয়ে ওই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয় যুবক। অভিযোগ, এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বউদির গলায় একের পর এক আঘাত করতে থাকে। সেই আঘাতে নলি কেটে যায়। ওই বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বক্সে গান বাজছিল। সেই কারণে, ওই তরুণীর আর্তনাদ সম্ভবত কারও কানে যায়নি। অভিযোগ, এদিকে অন্যদের ব্যস্ততার মধ্যে ওই অভিযুক্ত বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। কিছু সময় পরে ওই ঘরে সবিস্তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনুষ্ঠান বাড়িতে উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যেও তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়।
কিন্তু কেন এই ‘খুন’? বিধবা বউদির প্রতি কেন আক্রোশ ছিল দেবরের? ওই তরুণীর সঙ্গে কি দেবরের কোনও সম্পর্ক ছিল? কেনই বা স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে এসেছিলেন ওই তরুণী? সেইসব প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে ধরতে তার বয়স্ক বাবা রাজেন দাস এবং বৃদ্ধা অসুস্থ মা কালনদেবীকে আটক করা হয়েছে। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন, “ঘটনায় দু’জনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.