Advertisement
Advertisement
TMC

বড়ঞায় তৃণমূল নেতার ভাই খুনের পর রাতভর গ্রামে তল্লাশি, গ্রেপ্তার ২, উদ্ধার প্রচুর তাজা বোমা

ধৃত ২ জন সম্পর্কে বাবা-ছেলে, জানাচ্ছে পুলিশ।

Brother of TMC leader killed last eveing in Burwan: Murshidaba, two arrested and 30 bombs recovered | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 29, 2023 10:23 am
  • Updated:May 29, 2023 10:54 am

চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ভর সন্ধেবেলা মুর্শিদাবাদে তৃণমূল(TMC) নেতার ভাই খুন হওয়ার পর রাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল দু’জন। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে পাঁপড়দহ গ্রাম থেকে ধৃত সফিরুল বাশার ও বিরাজ আলম সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তারাই তৃণমূল নেতার ভাই আমির শেখকে হত্যার (Killing) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। ধৃতরা তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। আজ তাদের কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইবে পুলিশ। এর পাশাপাশি রবিবার রাতভর গ্রামে তল্লাশি চালায় বড়ঞা থানার পুলিশ। তাতে উদ্ধার হয়েছে অন্তত ২ বালতি তাজা বোমা (Bombs)। যার সংখ্যা তিরিশের বেশি বলে জানা যাচ্ছে। ফলে এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের নিরাপত্তায় মোতায়েন পুলিশ।

Advertisement

রবিবার সন্ধেয় বড়ঞা থানা এলাকার পাঁপড়দহ গ্রামের বাসিন্দা আমির শেখ মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে বেরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলেন। সেসময়ই এক জায়গায় অন্ধকারের মধ্যে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর ৮ থেকে ১০ টি বোমা  (Bomb) ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। বিকট শব্দ পেয়ে গ্রামবাসীরা ছুটে গেলে দুষ্কৃতীরা মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত আমিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত আমির সম্পর্কে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের তুতো ভাই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপিপন্থীরা সিনেমা বানায়, তৃণমূলের টলিউডিরা কী করছেন?]

খবর পেয়ে বড়ঞা থানার পুলিশ পাঁপড়দহ গ্রামে গিয়ে পৌঁছয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে রাতভর চলে তল্লাশি। গ্রাম থেকেই রাতে সফিরুল ও বিরাজকে  গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরাও তৃণমূল কর্মী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়া ওই এলাকা থেকে দু’বালতি তাজা বোমা পাওয়া গিয়েছে। কী কারণে এত বোমা গ্রামে রয়েছে? উঠছে সেই প্রশ্ন। 

[আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত দেবেন না, জ্বলে যাবে’, চরম হুঁশিয়ারি দিলীপের]

সোমবার সকালেও গ্রামে চাপা আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মৃত আমিরের সঙ্গে কারও কোনও গণ্ডগোল ছিল না। নমাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে এমন নৃশংসভাবে খুনের পিছনে জনৈক আপেল, কাজল, সিদ্দিকদের নাম বলছেন তাঁরা। এদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ