বাবুল হক, মালদহ: ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রুখল বিএসএফ। পাচারকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাও চালিয়েছিল। যদিও সেই হামলা মোকাবিলা করে পালটা আক্রমণে যান জওয়ানরা। দুই রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটল মালদহের নওদা সীমান্তে। জওয়ানরা ওই ঘটনার পর সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ উদ্ধার করেছেন।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, ১১৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা নওদার সীমান্তে রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন। আনুমানিক রাত ২টোর পর ১৫-২০ জন সশস্ত্র বাংলাদেশি চোরাকারবারী সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশিরা তারপরও এপারে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। জওয়ানরা তাঁদের আটকাতে বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজও করেন। তবুও পাচারকারীরা পিছু হটেনি।
জওয়ানদের মুখে জোরালো টর্চের আলো ফেলা হয়। চোখে ধাঁধা লেগে গেলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে জওয়ানদের উপর হামলা চালানো হয়। বেগতিক দেখে জওয়ানরা দুই রাউন্ড গুলি চালান। সেসময় পালান পাচারকারীরা। তীব্র শীতের রাতে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান জওয়ানরা। ৫৭২টি কফ সিরাপের বোতল, একটি দূরপাল্লার টর্চ উদ্ধার করা হয়। জওয়ানদের ছোড়া গুলিতে কি কেউ জখম হয়েছেন? সেই সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় জওয়ানরা সদা সতর্ক আছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই নজরদারি আরও জোরালো হয়েছে। শীতের রাতের ঘন কুয়াশার আড়ালে পাচারকারীরা সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা করেন। পাচার রুখতে কড়া নজরদারি চলছে। মালদহের খুটাদহ সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুয়াশার মধ্যে বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। বিএসএফ জওয়ানরা বাধা দিলে পাচারকারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে কর্তব্যরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি ছোড়ে। তাতেই পালিয়ে যান পাচারকারীরা। পরের দিন নওদা সীমান্তে ফের এই ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.