Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: ‘অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার পাঠাতে বলেন TMC বিধায়কই’, বিস্ফোরক বোলপুর হাসপাতালের সুপার

সূত্রের খবর, হাসপাতাল সুপারকে জেরা করতে পারে সিবিআই।

Buddhadeb Murmu makes stunning claim on sending doctor to Anubrata Mandal's residence । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 13, 2022 10:45 am
  • Updated:August 13, 2022 1:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। এই প্রথমবার মুখ খুললেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। দাবি, জেলা সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর নির্দেশেই অনুব্রতর বাড়িতে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে পাঠিয়েছিলেন তিনি। যদিও হাসপাতাল সুপারের বিস্ফোরক অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, হাসপাতাল সুপারকে জেরা করতে পারে সিবিআই।

গরু পাচার মামলায় গত সোমবার অনুব্রতকে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই (CBI)। তবে তাঁর আইনজীবী ই-মেল মারফত আধিকারিকদের জানান, অনুব্রত অসুস্থ। ওইদিন এসএসকেএমে আসার কথা রয়েছে। তাই তাঁর পক্ষে ওইদিন তলবে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। ওইদিন এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় তাঁর। তৃণমূল নেতার চিকিৎসায় গঠিত সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা চিকিৎসকরা অনুব্রতর একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করান। সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তাঁরা জানিয়ে দেন ক্রনিক রোগ ছাড়া হাসপাতালে ভরতি হওয়ার মতো কোনও সমস্যা নেই তাঁর। এরপর সোজা চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে চলে যান অনুব্রত। মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পড়েন। গন্তব্য বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রভাব ফেলবে না পার্থ-অনুব্রতর গ্রেপ্তারি, এখন ভোট হলে ৩৫টি লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের]

মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ি থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীকে বেরতে দেখা যায়। শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তবে তা নিয়েই তৈরি হয় বিতর্ক। কেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল নেতার চিকিৎসা করলেন, প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কার নির্দেশে এই কাজ করলেন চিকিৎসক, তা নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা। ওই চিকিৎসক অবশ্য বলেন, হাসপাতাল সুপারের কথামতো অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দেন। এমনকী তাঁর কাছে কল রেকর্ড রয়েছে বলেও দাবি করেন চন্দ্রনাথ।

Advertisement

শনিবার সকালে অবশ্য চিকিৎসকের দাবি নস্যাৎ করলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকালে জেলা সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী আমাকে ফোন করেছিলেন। উনি বলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) অসুস্থ। বাড়িতে মেডিক্যাল টিম পাঠাতে হবে। আমি ছুটিতে ছিলাম। সহকর্মী চন্দ্রনাথ অধিকারীকে ফোন করে অনুব্রতর বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। উনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। দেখে নিচ্ছি। যেহেতু বিকাশবাবু মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন তাই সরকারি হাসপাতালের প্যাড, স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে বারণ করেছিলাম। তবে বেড রেস্ট লিখতে বলিনি। ওনার চিকিৎসা করে বেড রেস্টের পরামর্শ দেওয়ার কথা মনে হয়েছিল। তাই দিয়েছিলেন।” এদিকে, পালটা সুপারের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিকাশ রায়চৌধুরী। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, “অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়েছিল তিনি অসুস্থ। ফিসচুলা ফেটে গিয়েছে। সেই তথ্য আমি হাসপাতাল সুপারকে দিয়েছিলাম। তবে বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর নির্দেশ দিইনি।”  

সুপারের বিস্ফোরক দাবির পর ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন চন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধই নির্দেশ। আমি প্রোটোকল মেনে কেন কাজ হল না সুপার ফোন করেছিলেন আমাকে। জিজ্ঞেস করেন আজ আপনার ছুটি? উত্তরে বলি হ্যাঁ। উনি বলেন অনুব্রত অসুস্থ। সুপার আরও বলেন, মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। আপনি যেতে পারবেন? তাঁকে বারবার সিবিআই ডাকছে। এখন কি যাওয়া উচিত? উনি বলেন যান। আমি যাই। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অনুব্রত মণ্ডল বলেন বিশ্রামের কথা লিখতে। তাঁর অনুরোধ এড়ানো সম্ভব ছিল না। তাই বেড রেস্টের কথা লিখি। আমি সাদা কাগজে লিখি। এরপর স্ট্যাম্প দেওয়ার জন্য হাসপাতালে পাঠাই। সুপার স্ট্যাম্প দিতে বারণ করেন। সিবিআই যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে কী বলব আমি? নিজেকে বাঁচাতে এরপর নানা নার্সিংহোমে পাঠিয়ে আমার সিল দিই।” তিনি আরও বলেন, “কারও সঙ্গে কোনও লড়াই নেই। আমি চাই না কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোক।” এছাড়া রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ঢালাও প্রশংসা করেন চন্দ্রনাথ অধিকারী। কার নির্দেশে অনুব্রতর বাড়িতে সরকারি চিকিৎসক গিয়েছিলেন, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে সূত্রের খবর, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে জেরা করতে পারে সিবিআই। 

[আরও পড়ুন: ভরসা তারা মা, জেরার ফাঁকে অনুব্রত বারবার কপালে ছোঁয়ালেন আশীর্বাদী ফুল!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ