সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে ভোর রাতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হুড়মুড়িয়ে শ্রমিক আবাসনে ঢুকে পড়ল যাত্রীবাহী বাস। তখনও ঘুমিয়ে গোটা চা বাগান। ঘুমের মধ্যেই উঠল আর্তনাদ। দুর্ঘটনারের জেরে শ্রমিক বস্তির এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম মুক্তি ওঁরাও(৪৫)। তিনি রান্না করছিলেন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাসটি প্রথমে ম্যানেজারের বাসভবনেই ধাক্কা মারে। এরপর শ্রমিক আবাসনে। এর জের ম্যানেজার-সহ আহত বেশ কয়েকজন। তাঁদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরা নকশালবাড়ি রোড লাগোয়া সন্ন্যাসী চা বাগান লাগোয়া শ্রমিক আবাসন। এই দুর্ঘটনার জেরে পুলিশি নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছেন চা বাগানের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বাগডোগরা থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
[ভোট গণনার শুরুতেই উত্তপ্ত বাংলা]
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগডরা নকশাল বাড়ি রোডে যানবাহন চলাচলে বিরাম নেই। রাত বাড়লেই যান চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ভোটের কারণে রুটিন টহলদারিতেও পুলিশকে দেখা যাচ্ছে না. তারফলে বেপরোয়া যান চলাচল বেড়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন চা বাগানের বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে ক্ষোভ জমছিল, এদিন ভোর বেলার ঘটনা সেই ক্ষোভে বারুদ সঞ্চার করেছে। নিয়্ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ঢুকে পড়ে রাস্তা লাগোয়া চা বাগানের শ্রমিক আবাসনে। ভোর রাতে সবাই বাড়িতেই ছিলেন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে এক বাসিন্দার। আহত বেশ কয়েকজন। আহতদের তালিকায় রয়েছেন চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার। তাঁদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দুর্ঘটনার পরেই বেগতিক বুঝে বাস ছেড়ে পালিয়েছে চালক ও খালাসি। ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পুলিশি নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছেন চা বাগানের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বাগডোগড়া থানার পুলিশ। তবে বিক্ষোভ থামানো যায়নি। বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপআলোচনা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর রাতের দিকে চালক ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। তার থেকেই হয়তো দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে চালক মদ্যপ ছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাসের নম্বর দেখে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। অবিলম্বেই ঘাতক বাসের চালককে গ্রেপ্তার করা যাবে।