সোমনাথ পাল, বনগাঁ: ফের প্রকাশ্যে এল পুলিশের মানবিক মুখ। পুজো এলেই অনিবার্যভাবে চাঁদার জুলুমবাজিও শুরু হয়ে যায়। এবার সেইসব জুলুমবাজদের কোপে পড়েও পুলিশের বদান্যতায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচলেন এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর নাম মাধব সাহা। তাঁর বাড়ি বনগাঁর রেলবাজার এলাকায়। পাড়ায় পাড়ায় আইসক্রিম ফেরি করেই তাঁর উপার্জন। পুজোর মধ্যে রাজ্যবাসী যখন আনন্দে মাতোয়ারা, সেই তখনই ২০ হাজার টাকা লোকসানের দায়ে পড়লেন মাধববাবু। সৌজন্যে চাঁদার দাবিতে জুলুমবাজদের অত্যাচার।
নবমীর দিন সকালে বনগাঁ থানার বিলের মাঠ এলাকায় আইসক্রিমের গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন মাধব সাহা। পুজোর সময় বিলের মাঠে প্রচুর লোকজন থাকে। কাছেই বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপও রয়েছে। বচ্ছরকার দিনে একটু বিক্রিবাট্টার আশায় তিনি সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময়ই স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদার দাবি করেন। তিনি টাকার অঙ্ক শুনেই না বলে দিয়েছেন। অভিযোগ, তারপরেই ওই ব্যবসায়ীকে হেনস্তা করে যুবকের দল। মাধববাবু যখন বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে ব্যস্ত সেই সুযোগেই তাঁর গাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকার আইসক্রিম চুরি যায়। পুজোতে লাভের কথা ভেবেই বেশি টাকা লগ্নি করে আইসক্রিম তুলেছিলেন। নবমীর সকালের ঘটনায় তিনি অকুল পাথারে পড়েন।
[বাইক রেসিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে মৃত্যু যুবকের]
তবে সময় নষ্ট করেননি ওই যুবক। তড়িঘড়ি বনগাঁ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশও তৎপরতার সঙ্গে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের জেরা করতেই ২০ হাজার টাকার খোঁজ মিলে যায়। রবিবার সেই টাকা ফেরাতেই মাধববাবুকে বনগাঁ থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দুর্গাপুজোর শেষটা দুশ্চিন্তায় কাটলেও কালীপুজো ভালভাবেই যাবে। টাকা ফিরে পেয়ে এমনটাই মনে করছেন মাধব সাহা। এত তাড়াতাড়ি সুবিচার পাওয়ায় থানার পুলিশকর্তাদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি ওই ব্যবসায়ী।