Advertisement
Advertisement

মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে, পুলিশকে নির্দেশ হাই কোর্টের

রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট, মত পঞ্চায়েতমন্ত্রীর।

Calcutta HC directs state police to reign poll violence
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 6, 2018 3:05 pm
  • Updated:June 14, 2019 4:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে অশান্ত বাংলা। কাঠগড়ায় শাসকদল। অশান্তি রুখতে হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিরোধীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার নির্দেশ দিল রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, মনোনয়ন পেশে কাউকে যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপরেও কোনও সমস্যা হলে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন মামলাকারী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। এদিকে, শুক্রবার রাজ্য পুলিশকে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে করানোর পক্ষে সওয়াল করলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

[পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি, হাই কোর্টে কংগ্রেস]

Advertisement

আগামী মাসে গ্রামবাংলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ। এখন বিডিও অফিসে চলছে মনোনয়ন জমা নেওয়ার কাজ। কিন্তু, বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের প্রার্থীরা। রীতিমতো মারধর করে কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার বোমা, গুলিও চলছে। বৃহস্পতিবার শাসকদলের দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। বসে নেই শাসকদলও। তাঁদের দাবি, কোথাও কোনও অশান্তি হচ্ছে না। বিরোধীদের মিথ্যা অভিযোগ করছে। কমিশনের তো বটেই, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই শাসক-বিরোধী তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

Advertisement

[আগামিদিনে পুলিশের কপালে দুঃখ আছে, ফের বিস্ফোরক দিলীপ]

তবে পঞ্চায়েত ভোটে আর এখন শুধু রাজনৈতিক পরিসরেই সীমাবদ্ধ নেই। মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টেও। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে দলের কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার মনোনয়ন পর্বকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, মনোনয়ন পেশে যদি কাউকে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে ফের রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের মামলা করা যাবে। আদালতের রায়ে স্বভাবতই খুশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। এদিকে  রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে করার পক্ষের সওয়াল করলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই। পঞ্চায়েতমন্ত্রী দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার খরচ বাড়বে। আর তা জোগাতে হবে রাজ্য সরকারকেই। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাবে অমত ছিল না মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরও। কিন্তু, রাজ্যের আপত্তিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

[একজোট হয়ে প্রতিরোধের বার্তা বিমানের, কমিশনের সামনে ধরনায় বামেরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ