Advertisement
Advertisement
North Bengal

১ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরে বৃষ্টি, ভোট প্রচারে ভরসা রেনকোট-ছাতা

কয়েকদিন ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। জারি হয়েছে 'হলুদ' সতর্কতা।

Candidates carrying umbrella during Lok Sabha Campaign in North Bengal
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 28, 2024 5:39 pm
  • Updated:March 28, 2024 5:39 pm

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি : রোদ বৃষ্টির লুকোচুরি অব্যাহত উত্তরে। সকালে রোদের দেখা মিললেও দুপুরে আকাশ কালো করে জমছে মেঘ। বিকেল না হতে ঝাপিয়ে নামছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে এমন বর্ষার পরিবেশ। কয়েকদিন ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। জারি হয়েছে ‘হলুদ’ সতর্কতা। এদিকে ভোট দোরগোড়ায়। হাতে খুব বেশি সময় নেই। তাই পরিস্থিতি সামলে প্রচার চালিয়ে যেতে কর্মীদের ছাতা, রেনকোট রাখতে নির্দেশ প্রতিটি দলের।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিম কেন্দ্রের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “আরও কয়েকদিন পাহাড়-সমতলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলবে।” আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উপরে নিম্নচাপ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণাবর্তের আছে। দুইয়ের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই মূহুর্তে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে উত্তরের আকাশে। তার প্রভাবে আকাশে মেঘের আনাগোনা বেড়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নোটের বিছানায় শুয়ে সুখনিদ্রা! অসমে বিজেপির শরিক দলের নেতার ছবি ভাইরাল]

বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন জেলায়। রবিবার পর্যন্ত সেটা চলবে। বিশেষত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। এখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট ওই তিন জেলায় রয়েছে। বুধবার শেষ হয়েছে মনোনয়ন জমা করানোর দিন। স্বভাবতই আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে দেওয়াল লিখন কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রতিটি দল। কারণ, যে দেওয়াল লেখা হয়েছে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেগুলো ফিকে হয়েছে। মিছিল অথবা পথসভা কেমন করে হবে এখন সেই চিন্তায় দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য শ্যামচাঁদ ঘোষ বলেন, “আকাশের অবস্থা খারাপ। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রেনকোট অথবা ছাতা রাখতে বলা হয়েছে। বৃষ্টি হলেও প্রচারের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন, “হাতে সময় খুব বেশি নেই। তাই বৃষ্টি কখন থামবে সেই অপেক্ষায় বসে থাকার উপায় নেই। ওই কারণে প্রত্যেক কর্মীকে সঙ্গে ছাতা রাখতে বলা হয়েছে।”  বামেরাও একই পথ নিয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলা সিপিএম সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, “বৃষ্টি হলেও উপায় কী! প্রচার চলবে।”

[আরও পড়ুন: ‘স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী’র চাপে বিচার বিভাগ! প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেশের ৬০০ আইনজীবীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ