Advertisement
Advertisement

পুরসভার অভিযানে বর্ধমানে নামী রেস্তরাঁয় উদ্ধার পচা মাংস, হতবাক পুরকর্তারা

ভাগাড়ের না হলেও তার চেয়ে কিছু কম না, জানালেন বর্ধমান পুরসভার প্রধান।

Carcass meat seized from popular eatery in Burdwan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 5, 2018 12:18 pm
  • Updated:May 5, 2018 12:18 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নামী রেস্তরাঁ, সেখানেই কি না ছাতাধরা পচা মাছ-মাংস! ভাবতে অবাক লাগলেও এমনটাই দেখা গিয়েছে বর্ধমান পুরসভার অন্তর্গত অনেক রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকানগুলিতে। যা দেখে হতবাক পুরপ্রধান তো বলেই ফেললেন, ‘এই মাংস ভাগাড়ের না হলেও ভাগাড়ের থেকে কোনও অংশে কম নয়’।

পচা মাংসের জাল শহর কলকাতা ছেড়ে ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। তারই সন্ধান পেতে শুক্রবার দুপুরে বর্ধমান পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁগুলিতে অভিযান চালান হয়েছিল। যে রহস্য উদঘাটন হল, তাতে রীতিমতো হতবাক পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত, চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল খোকন দাস ও পুরসভার আধিকারিক জয় সেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হোটেল-রেস্তরাঁগুলিতে মজুত বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পরীক্ষা করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, একাধিক রেস্তরাঁর খাবারের গুণগত মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুরপ্রধান ও পুর আধিকারিকরা। ঢলদিঘি এলাকার একটি হোটেলে মজুত খাবারের গুণগত মানে সন্দেহ হলে, সেই হোটেলের মাংস, মাছ ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছে পুরসভা।ল্যাবরেটরিতে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাবে পুরসভা। ভাগাড়ের মাংস না হয়ে পচা মাংস ধরা পড়লেও হোটেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত। পাশাপাশি শহরে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

কলকাতায় ভাগাড়ের মাংস নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ালেও সেই আঁচ যে তাঁর পুর এলাকাতেও পৌঁছে যাবে ভাবতেও পারেননি বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত। তিনি জানিয়েছেন যে, অভিযান চালিয়ে হতবাক তিনি। খালি চোখে যা দেখেছেন তা  ভাগাড়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। জানা গিয়েছে, ওই রেস্তরাঁ থেকে যে মাছ-মাংস মিলেছে তা ঠিক কবে কেনা হয়েছে সঠিক করে সেই দিনটিতে পুরসভাকে জানাতে পারেনি রেস্তোরার কর্মীরা। এমনকি পোস্ত প্রায় দুমাস আগে বেঁটে রাখা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ পুরপ্রধান।

Advertisement

পেশায় চিকিৎসক বর্ধমান পুরসভার চেয়ামম্যান স্বরূপ দত্ত জানিয়েছেন, পচা মাংস, মাছ খেয়ে শরীর খারাপ হলেও অনেক সময় বোঝা যায় যে ওই খাবার থেকেই শরীর খারাপ হয়েছে হয়েছে। তবে এর ফল হয় মারাত্মক। শরীর ভিতরে ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সকলের নজর এড়িয়ে কেমন একদিন ধরে রমরমা ব্যবসা চালাতে পারছে এই সমস্ত রেস্তরাঁগুলি? প্রশ্ন করা হলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন, প্রশাসনিক স্তরে নজরদারির তেমন সুযোগ না থাকার ফলেই এক শ্রেণির অসাধু কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। তাদের মদতেই এই ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠছে বলেও জানিয়েছেন পুরপ্রধান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ