রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: পতঙ্গভুক উদ্ভিদ ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারের বনচুকামারি ২ নম্বর বিএফপি স্কুলে। সম্প্রতি এই বিদ্যালয়ের মাঠে বিরল একধরনের উদ্ভিদ দেখতে পান পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। আশ্চর্যজনক ভাবে এই উদ্ভিদের উপর দিয়ে পিঁপড়ে হেঁটে যেতে থাকলে তা আচমকা আটকে পড়ছে। এমন ঘটনা লক্ষ করে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তারপরই এই উদ্ভিদ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। শুরু হয়ে যায় নানা জল্পনা। স্কুলের মাঠে অদ্ভুত উদ্ভিদ দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন আশপাশের বাসিন্দারা।
[জঙ্গলে বড় বড় পায়ের ছাপ, বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে লালগড়বাসীর]
সুন্দর ফুলের মতো দেখতে এই উদ্ভিদের নানা কীটপতঙ্গ সাবাড় করার কাহিনি গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের মানুষের ভিড় থেকে বাঁচাতে স্কুলের কিছু ছাত্রছাত্রী এই উদ্ভিদ তুলে ফেলতে শুরুও করে। কিন্তু বাধা দেন স্কুলের শিক্ষকরা। স্কুলের শিক্ষক যুগল পণ্ডিত বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে এটি ঠিক কী জাতীয় উদ্ভিদ তা বুঝতে পারছি না। তবে পিঁপড়ে সহ নানা পতঙ্গ এই উদ্ভিদ নিজেদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে এটি ঠিক কী ধরনের উদ্ভিদ তা পরিষ্কার করে দিলে সকলের সুবিধে হয়।” উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উদ্ভিদ বিভাগের প্রধান অভয়পদ দাসকে এই উদ্ভিদের ছবি পাঠানো হয়েছে। ছবি দেখে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এটি একটি পতঙ্গভুক উদ্ভিদের ছবি। তিনি বলেন, “এই উদ্ভিদটিকে সূর্যশিশির বলি। এটি ড্রসেরা প্রজাতির একটি পতঙ্গভুক উদ্ভিদ। ছোট পতঙ্গকে এরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।”
স্কুল চত্বরে এহেন উদ্ভিদ নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আসলেও কিছুতেই থামছে না জল্পনা। শুধু মাত্র পতঙ্গ খেয়েই কি ক্ষুধা শান্ত হবে এই গাছের? মানুষ ও পশু-পক্ষীর ক্ষতি করতে কি সক্ষম উদ্ভিদটি? এমন প্রশ্নও উঠে আসছে। ফলে কিছুটা আশঙ্কায় ভুগছেন অভিভাবকদের একাংশ। তবে স্কুলের শিক্ষকরা মনে করছেন এক্ষুনি গাছটিকে উপড়ে ফেলা উচিত নয়। বিরল এই উদ্ভিদ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মতামত চেয়েছেন তাঁরা।
[১৪ ঘণ্টা লুকিয়েও হল না লাভ, জুতোর লোভে ধরা পড়ল চোর ]
ছবি : শীলা দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.