শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনায় বিকানের এক্সপ্রেসের (Bikaner Express) চালকের বিরুদ্ধে রেল পুলিশের দ্বারস্থ আহত এক যাত্রী। চালক প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি জিআরপিতে দায়ের হল অভিযোগ। অভিযোগকারী যাত্রীর দাবি, চালকের কারণেই এই দুর্ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেলে।৫ টা নাগাদ আচমকাই ময়নাগুড়ির (Maynaguri) দোমোহানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয় গুয়াহাটিগামী আপ বিকানের এক্সপ্রেস। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বেশ কয়েকটি কামরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির মোট ১২টি বগি। আটকে পড়েন বহু যাত্রী। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তাঁদের সামর্থ্য মতো উলটে যাওয়া বগিগুলিতে আটকে পড়া যাত্রীদের বের করে আনার চেষ্টা করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিক ও উদ্ধারকারীরা। উলটে যাওয়া বগি কেটে শুরু হয় যাত্রীদের বের করার কাজ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আহত বহু। অনেকেই চিকিৎসাধীন হাসপাতালে।
শুক্রবারই দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিকানের এক্সপ্রেসের চালক প্রদীপ কুমার। তিনি বলেন, “গাড়ি ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার স্পিডে ছিল। দোমোহনি স্টেশনে সবুজ সংকেত দেখেই ট্রেনটি চালাই। হঠাৎ অ্যাডভান্স সিগন্যালের আগে ঝাঁকুনি অনুভব করি। সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষি। তখনই দেখি পিছনে বগি উলটে গিয়েছে। কীভাবে হল বুঝতেই পারলাম না।” তিনি জানিয়েছিলেন, রেল ট্র্যাকের সমস্যার জন্যই এমন হয়েছে বলে ধারণা তাঁর। এর কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে বিকানের এক্সপ্রেসের চালকের বিরুদ্ধেই দায়ের হল অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করেছেন কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ির থানা এলাকার বাসিন্দা উত্তম রায়। বিকানের এক্সপ্রেসে জয়পুর থেকে ফিরছিলেন তিনি। বৃহ্স্পতিবার ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম হন উত্তমবাবু ও তাঁর ছেলে। ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এরপরই হাজির হন ময়নাগুড়ির জিআরপি থানায়। বিকানের এক্সপ্রেসের চালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর দাবি, চালকের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে এখনও অভিযুক্ত অথবা রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.