Advertisement
Advertisement

৮টি লোকাল ট্রেনের রুট বন্ধে রেলমন্ত্রকের চিঠি রাজ্যকে

জনবিরোধী সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা, কড়া প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর।

Center wants to stop these local train routes of Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 19, 2018 1:19 pm
  • Updated:January 19, 2018 1:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসানে চলছে। তাই রাজ্যের লোকাল ট্রেনের আটটি শাখায় রেল চলাচল বন্ধ করতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল রেলমন্ত্রক। এই রুটগুলির মধ্যে রয়েছে বারাসত থেকে হাসনাবাদ, কল্যাণী থেকে কল্যাণী-সীমান্ত, শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ।বালিগঞ্জ থেকে বজবজ, সোনারপুর থেকে ক্যানিং, বারুইপুর থেকে নামখানা, বর্ধমান থেকে কাটোয়া, ভীমগড় থেকে পলাশস্থলী। এদিকে কেন্দ্রের এহেন তুঘলকি প্রস্তাবে ক্ষোভে ফুটছে সংশ্লিষ্ট শাখার রেলযাত্রীরা। এহেন চিঠিকে জনস্বার্থ বিরোধী আখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রতি বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। এটা কেন্দ্রের একটি ষড়যন্ত্র। কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা রাজ্যকে দিতে হচ্ছে। এটা কেন্দ্রের রাজ্যের প্রতি চরম বঞ্চনা। বাংলার অসম্মান। এই অপমান সহ্য করব না। এই শাখা গুলিতে ট্রেন চালু হয়েছিল আমার আমলে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কোনওভাবেই মানব না।

এদিন তিনি আরও বলেন,  কেন্দ্র আগেই  ৫০ হাজার কোটি টাকা আমাদের থেকে কেটে নিয়েছে। আবার ওরা বলছে লস প্রজেক্টের জন্য ৫০ শতাংশ টাকা দিতে হবে। আমরা চরম আপত্তি জানাচ্ছি।

Advertisement

[ঐত্রীর পরিবারকে শাসানির জের, বরখাস্ত আমরি মুকুন্দপুরের ইউনিট হেড জয়ন্তী]

Advertisement

মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উল্লেখিত শাখাগুলিতে ট্রেন চললেও আশনুরূপ লাভ হচ্ছে না। তাই এগুলি বন্ধ করে দেওয়া হোক। রাজ্য এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে মত দিক, নাহলে সংশ্লিষ্ট শাখায় রেল চলাচলে যে লোকসান হচ্ছে তার অর্ধেক ভার বহন করুক। তবে এই চিঠি নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সংশ্লিষ্ট রুটে যে নতুন রেললাইনের সম্প্রসারণের কথা হচ্ছে তা বন্ধ করতে এই বার্তা এসেছে কিনা, এখনও স্পষ্ট নয়।

[হিন্দু হস্টেল সংস্কারের কাজ শেষ কবে, প্রেসিডেন্সিতে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল]

এদিকে কেন্দ্রের তুঘলকি সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট শাখার যাত্রীরা। বারাসত শাখার নিত্যযাত্রী সুপর্ণা দেবনাথ জানিয়েছেন, “এমনিতে বনগাঁ লাইনে ট্রেনের ভিড় মারাত্মক। অফিস টাইমে ট্রেনে ওঠাই দায় হয়ে যায়। তাতে যদি হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত যাত্রী কোথায় যাবে?” “পাগলের মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র”, মন্তব্য করেছেন ব্যারাকপুর শাখার নিত্যযাত্রী শুভময় রায়। কল্যাণী ও কল্যাণী-সীমান্তের মধ্যে আলাদা কোনও ট্রেন চলাচল করে না। শিয়ালদহ থেকেই সারাদিনে একটি ট্রেন যায়। এবার সেটিও বন্ধ হয়ে গেলে নিত্যযাত্রীরা অবরোধে যাবে। গোটা রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। জেলার মানুষজন, কর্মসূত্রে প্রতিদিন যাঁরা কলকাতায় আসেন তাঁরা অত্যন্ত বিপদে পড়বেন। একই মত বালিগঞ্জ বজবজ শাখার যাত্রীদেরও।

[ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য জুড়ে ২ দিনের বাস ধর্মঘট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ