প্রতীকী ছবি।
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূলের জেলা সংগঠনে ফের রদবদল। বারাসত সাংগাঠনিক জেলার চেয়ার পার্সন এবং সভাপতির নাম ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি নাম ঘোষিত হল রাজ্য মাদার কমিটির নয়া সহ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের। দলবদল করেই তৃণমূলে বড় পদ পেলেন প্রাক্তন কংগ্রেসি শংকর মালাকারও।
গত ১৬ মে তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছিল। সেই সময় জেলা সভাপতি এবং জেলা চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় বাদ ছিল বারাসত এবং দার্জিলিং সমতল সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নাম। আজ, সোমবার তৃণমূলের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বারাসত সাংগাঠনিক জেলার চেয়ার পার্সন হলেন সব্যসাচী দত্ত। এর আগে এই পদে ছিলেন হাবড়ার তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস। জেলা সভাপতি রইলেন সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার-ই। অন্যদিকে রাজ্য সংগঠনে নয়া সহ সভাপতির পদ পেলেন শংকর মালাকার। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হলেন ফুরফুরার পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি। সবক’টি নিয়োগই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের উপর ভরসা রেখে গত সপ্তাহেই দল বদলেছিলেন উত্তরের দাপুটে কংগ্রেসি নেতা শংকর মালাকার। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, দার্জিলিঙ তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাবেন তিনি। কিন্তু আশা পূর্ণ হল না! বরং রাজ্য সংগঠনে সহ সভাপতির দায়িত্ব পেলেন তিনি। এদিকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন নওশাদ সিদ্দিকির তুতো ভাই কাসেম। ইফতারের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারপরই থেকেই বাড়ছিল জল্পনা। এবার ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাকে দলীয় পদ দিয়ে সেই জল্পনায় সিলমোহর দিল ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে তৃণমূলের দুই জেলার সংগঠনে রদবদল ঘটিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এর মধ্যে ছিল উত্তর কলকাতা ও বীরভূম। বীরভূমে সংগঠন চালানোর ভার সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়েছে কোর কমিটিকে। অনুব্রত মণ্ডল-সহ ৭ সদস্যের কোর কমিটিই সব কর্মসূচি করবে, এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। কলকাতা উত্তরেও বীরভূমের ধাঁচে তৈরি হয়েছে কোর কমিটি। তাতে রয়েছেন ৯ সদস্য। সেই সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “যাঁরা যোগ্য, যাঁরা পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের দল পুরস্কৃত করেছে। এমনটা হয়েছে যে কেউ প্রচুর পরিশ্রম করেছেন, অথচ সেই জায়গায় আমরা হেরে গিয়েছি। কিন্তু তাঁদের পরিশ্রমের তো বিকল্প হয় না। তাই দল সেসব ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কাউকে জেলা স্তর থেকে রাজ্য স্তরে আনা হয়েছে। কাউকে নতুন পদে আনা হয়েছে।” এই রদবদল কি পারফরম্যান্সের পুরস্কার? উত্তর অজানা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.