Advertisement
Advertisement

Breaking News

শিশুমৃত্যু

চিকিৎসকদের একটানা আন্দোলনের জের, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ২ শিশুর

‘আন্দোলন চলছে, চিকিৎসা করা সম্ভব নয়’, ঘোষণা চিকিৎসকদের৷

Childrens dies due to lack of treatment at North Bengal
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 17, 2019 1:48 pm
  • Updated:June 17, 2019 1:48 pm

শুভদীপ রায় নন্দী ও বাবুল হক: সপ্তাহখানেক ধরে রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলনের জট এখনও কাটেনি৷ প্রায় স্তব্ধ রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা৷ তারই মাঝে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে একের পর এক শিশু৷ সাগর দত্ত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল, আরজি করে শিশুমৃত্যুর পর এই তালিকায় নবতম সংযোজন উত্তরবঙ্গ এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে বিনা চিকিৎসাতেই প্রাণ গিয়েছে খুদেদের৷

[ আরও পড়ুন: এখনও নিখোঁজ জাদুকর, ম্যানড্রেকের খোঁজে গঙ্গাবক্ষে চলছে তল্লাশি]

রবিবার রাতে জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছিল দিব্যাংশ মালিক নামে বছরখানেকের এক শিশুর৷ তড়িঘড়ি মা এবং মামা মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে৷ অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় খুদেকে৷ তবে কোনও চিকিৎসকই তার চিকিৎসা করেনি৷ শিশুর মা এবং মামা বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসা করার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ তবে চিকিৎসকরা আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিকিৎসা করবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন শিশুর মা এবং মামাকে৷ সোমবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, শিশুটি মারা গিয়েছে৷ পুত্রসন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরিজনেরা৷ বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তাঁরা৷ যদিও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: চিকিৎসকের অভাব, বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিষেবা বন্ধ পুরুলিয়ার পাথরডি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে]

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মতোই মালদহ মেডিক্যালের ছবিও একইরকম৷ আন্দোলনের নাম করে রোগী ফেরানোর ধারা বজায় রেখেছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা৷ তার জেরে প্রাণ দিয়ে খেসারত দিতে হল বছর তিনেকের শিশু ইন্দ্রজিৎ ঘোষ৷ সোমবার সকালে সাপে কামড়ানো এক রোগীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরাতন মালদহের বাসিন্দারা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, ওই ওয়ার্ডে কোনও চিকিৎসক নেই৷ কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে প্রাণ হারায় শিশুটি। পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে মারধরের ঘটনা সত্যি কাম্য নয়৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পরিবহর ঘটনাকে হাতিয়ার করে চিকিৎসকদের আন্দোলনে যে একের পর এক শিশু মারা যাচ্ছে, তা কতটা যুক্তিযুক্ত৷ আন্দোলনের সপ্তম দিনেও এই প্রশ্নের উত্তর অধরা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ