Advertisement
Advertisement
Chinese

বৈধ ভিসা ছাড়াই গুরুগ্রামে হোটেলের মালিক! মালদহে ধৃত চিনা ‘চর’কে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

তাকে জেরা করতে আসছে NIA, লখনউ ATS-এর দল।

Chinese national arrested from Maldah owns a hotel in Gurugram without legal visa, BSF came to know by investigating him | SangbadPratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 11, 2021 10:23 am
  • Updated:June 11, 2021 12:15 pm

বাবুল হক, মালদহ: ঘুরতে ঘুরতে ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়া নয়। রীতিমত আটঘাট বেঁধেই ভারত তথা বাংলায় প্রবেশ করেছে মালদহ (Maldah) থেকে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেই। সে একা নয়, লখনউয়ে তার সঙ্গী সান জিয়াং। তাকেও দিন কয়েক আগে গ্রেপ্তার করেছে ATS। হানকে গ্রেপ্তারের পর টানা জিজ্ঞাসাবাদে এমনই বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে বিএসএফের (BSF)। কে এই হান? তার সঙ্গে চিনা গোয়েন্দা সংস্থার যোগ রয়েছে কি না? কী উদ্দেশেই বা এখানে আসা? এসব সব বিস্তারিত প্রশ্নের উত্তর জানার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই মালদহ পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) একটি দল। তাদের আশা, হানকে জেরা করে আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।

বছর ছত্রিশের হান জুনেই আসলে চিনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে মালদহ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করায় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ২ জুন বিজনেস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) চাপাইনবাবগঞ্জে আসে। সেখানে এক চিনা বন্ধুর সঙ্গে কিছুদিন ছিল। তারপর ৮ তারিখ চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভারতীয় সীমান্তের দিকে সোনা মসজিদের কাছে আসে। সেখানে হোটেলে ২ দিন থাকার পর বৃহস্পতিবার মালদহের কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় হান জুনেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদে’র ছায়া নদিয়ায়, প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক নাবালিকা, বাড়িতে আগুন বাবার!]

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ কর্তারা যা জানতে পারেন, তা রীতিমত চাঞ্চল্যকর। হান জুনেই ২০১০ সাল থেকে চার বার ভারতে এসেছে। তিনবার দিল্লি এবং একবার হায়দরাবাদে এসেছিল। দিল্লি লাগোয়া গুরুগ্রামে ‘স্টার স্প্রিং’ নামে একটি হোটেলের মালিক সে। বৈধ ভিসা ছাড়াই ২০১৯ সাল থেকে এই হোটেলের মালিকানা আদায় করে নিয়েছে হান। তার ব্যবসায়িক সঙ্গী সান জিয়াং লখনউ থেকে দিন কয়েক আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে। মাঝে যখন হান নিজের দেশে ফিরেছিল, সেসময় তাদের কাছে সানই ১০ থেকে ১৫টি ভারতীয় সিম পাঠান। হান আরও জানায় যে চিন থেকে ভারতে আসার ভিসা না মেলায় ঘুরপথে নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা জোগাড় করে সে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বিকৃত করে যুবতীর নগ্ন ছবি পোস্ট যুবকের]

বৃহস্পতিবার বিএসএফের হাতে ধরা পড়ার পর হানের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গিয়েছে। ভারতে চিনা অনুপ্রবেশ মানেই গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহ প্রবল। হানও কি চিনা গুপ্তচর? ভারত থেকে চিনা গোয়েন্দাদের তথ্য পাচার করার উদ্দেশেই এখানে হোটেল মালিক হয়ে ঘাঁটি গাঁড়ার পরিকল্পনা করেছিল? সূত্রের খবর, এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আজ তাকে জেরা করবে NIA-র দল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ