Advertisement
Advertisement

Breaking News

শান্তিপুর বিষমদ কাণ্ডের তদন্তে নামছে সিআইডি

মৃতের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা নবান্নের৷

CID probe in Nadia hooch tragedy

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 28, 2018 4:34 pm
  • Updated:November 28, 2018 9:39 pm

সন্দীপ চক্রবর্তী ও বিপ্লব দত্ত: শান্তিপুর বিষমদ কাণ্ডে বুধবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল প্রশাসনের শীর্ষ মহল৷ সাসপেন্ড করা হল তিন আবগারি অফিসার, আটজন কনস্টেবল-সহ মোট এগারো জনকে৷ পাশাপাশি নবান্ন সূত্রে খবর, বিষমদ খেয়ে যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে৷

[‘লাল ফেট্টি খুলে গেরুয়া ফেট্টি পরে তাণ্ডব চালাচ্ছে ওঁরা’, জঙ্গলমহলে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী]

Advertisement

সাসপেন্ডের তালিকায় রয়েছেন রানাঘাট সার্কেলের ডেপুটি আবগারি অফিসার ও আবগারি ওসি৷ এদিন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকে এই বিষমদ রাজ্যে প্রবেশ করেছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখবে সিআইডি৷ এছাড়া এই ঘটনার পিছনে কাদের গাফিলতি রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর৷ মঙ্গলবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুরে বিষ মদে বলি হন সাত জন। অসুস্থ হয়ে এখনও হাসপাতালে ভরতি অসংখ্য মানুষ। এই ঘটনায় ফের একবার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশ প্রশাসনের দিকে৷ চোলাই মদের মদের রমরমা ব্যবসা বন্ধ করতে তাঁরা ব্যর্থ বলে সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ৷ অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই রাজ্য সরকারকে টার্গেট করেছে বিরোধীরা৷ মানুষকে চোলাই খাওয়ার লাইসেন্স দিচ্ছে সরকার৷ এমনই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা৷ ২০১১ মগরাহাটের বিষমদ কাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যর পর, কীভাবে বিষ চোলাইয়ের কারবার চলছে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে সব মহলে।

Advertisement

[অধ্যাপকদের ‘লুঙ্গি ডান্স’ বিতর্ক মেটাতে অবশেষে পদক্ষেপ বিশ্বভারতীর]

মঙ্গলবার বিকেলে শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুরের একটি চোলাই মদের ঠেক থেকে মদ খেয়ে এই কাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। নৃসিংহপুরের চৌধুরিপাড়ায় এই চোলাইয়ের ঠেকটি চলত। আশপাশের ইটভাটা ও খেতের শ্রমিকরা এদিন বিকেলে সেই ঠেক থেকে মদ খান বলে দাবি স্থানীয়দের জানা গিয়েছে, চৌধুরিপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দার একইসঙ্গে পেটব্যথা ও বমি শুরু হয়। প্রত্যেকের গায়ে জ্বালা দিচ্ছিল৷ তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় দোলাচাঁদ মাহাতো (৪০) নামে এক ব্যক্তির। চৌধুরিপাড়ার বাসিন্দা তিনি। দোলাচাঁদ ছাড়াও আরও তিনজনকে কালনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বুধবার ভোর রাতে এই তিনজনেরই মৃত্যু হয়। কালনা হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সুনীল মাহাতো (৪০), ভুটান মাহাতো (২৭), কাশিনাথ মাহাতো (৬৫)। সুনীল মাহাতো ও ভুটান মাহাতো চৌধুরিপাড়ারই বাসিন্দা। কাশীনাথ মাহাতো কল্যাণী থেকে চৌধুরিপাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন। এছাড়া বুধবার সকালে শান্তিপুর হাসপাতালে আরও তিন’জনের মৃত্যু হয়। যদিও জেলার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, “নৃসিংহপুরের চৌধুরিপাড়ায় চোলাই মদ খেয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাকি কেউ অসুস্থ আছেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।”

বুধবার সকাল থেকে নৃসিংহপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিষ মদে আক্রান্তদের খোঁজ চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কর্তারা। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে ভরতি করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কালনা ও শক্তিগড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ