Advertisement
Advertisement

শিশু পাচারচক্রের চাঁইদের ধরতে ভিনরাজ্যে অভিযান সিআইডি’র

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে চলত শিশুবিক্রির ব্যবসা৷

CID uncovers newborn trafficking racket
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 23, 2016 1:51 pm
  • Updated:November 23, 2016 1:54 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বাদুড়িয়ায় শিশু পাচার চক্রের খোঁজ পাওয়ার পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে৷ বুধবার সকালে বাগজোলার ‘সোহন নার্সিংহোম’ ও ‘বৈদ্য ক্লিনিক’-এর সামনে ভিড়৷ যাঁদের সন্তান মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁরাও কেউ কেউ ঘটনাস্থলে এসেছেন৷ এই পাচারচক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা৷ প্রয়োজনে ভিন রাজ্যে এবং ভিন দেশে অভিযান চালাবে সিআইডি৷

সোমবার রাতে বাদুড়িয়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে শিশু পাচারচক্রের আটজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি৷ ধৃতরা হল ‘সোহন নার্সিংহোম’-এর মালিক আশাদুর জামান, নার্সিংহোম লাগোয়া ‘বৈদ্য ক্লিনিক’-এর কর্ণধার বাগবুল বৈদ্য, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সুবোধ সরকার মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর কর্ণধার সত্যজিত্‍ সিংহ, তার স্ত্রী উৎপলা ব্যাপারী ওরফে পলি, নাজমা বিবি, নার্সিংহোমের হাতুড়ে চিকিৎসক আমিরুল বিশ্বাস, বসিরহাটের আদালতের কর্মী প্রভাত সরকার এবং ঝণ্টু বিশ্বাস৷ ধৃতদের মধ্যে সত্যজিত্‍ সিংহ, উৎপলা ব্যাপারী, নাজমা বিবি, এবং আশাদুর জামানকে আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত গোয়েন্দা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ বাকি ৪ জনকে পাঠানো হয়েছে জেল হেফাজতে৷

Advertisement

গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন, ‘সোহন নার্সিংহোম’ থেকে সদ্যোজাতদের তুলে দেওয়া হত মছলন্দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সুবোধ সরকার মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর কর্ণধার ধৃত সত্যজিত্‍ সিনহা এবং তার স্ত্রী উৎপলা ব্যাপারী ওরফে পলির হাতে৷ তাদের সঙ্গে যোগ ছিল দিল্লির আরও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার৷ সেই সংস্থার মাধ্যমেই চলত শিশুবিক্রির রমরমা ব্যবসা৷ সীমান্তবর্তী ওই নার্সিংহোমে সন্তান প্রসবের জন্য বাংলাদেশ থেকেও বহু মহিলা আসতেন৷ পাশাপাশি বাংলাদেশের শিশুপাচারকারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল নার্সিংহোম-এর৷ দিল্লি, মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশেও একাধিক শিশুকে বিক্রি করা হয়েছিল বাদুড়িয়া থেকে৷ সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির বাড়ির লোকজনকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিত, মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে৷ সেই সন্তানকে চোখের দেখা দেখতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানাত, মৃত সন্তান দেখে কী লাভ? দেখার জন্য জোর করলে পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণবাবদ দেওয়া হত ৩০-৪০ হাজার টাকা৷ সদ্যোজাত জীবিত সন্তানদের বিক্রি করে দেওয়া হত দেশ ও বিদেশে৷ পুত্রসন্তান হলে দু’লক্ষ টাকা এবং কন্যাসন্তান হলে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হত৷

Advertisement

(বাদুড়িয়ায় শিশুপাচার চক্রের খোঁজ, ধৃত নার্সিংহোমের মালিক-সহ ৮)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ