ছবি: প্রতীকী
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: কংগ্রেস ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বুধবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হাওড়ার পঞ্চাননতলা এলাকা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। এদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় পরস্পরকে কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস-বিজেপি উভয়ই।
হাওড়ার পঞ্চাননতলা এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয় রয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার সেই কার্যালয়ের কিছুটা দূরে একটি ফ্লেক্স লাগাচ্ছিল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। সেই ফ্লেক্সে লেখা ছিল, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। তা নজরে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপির কর্মীরা। কার্যালয় থেকে দলে দলে কর্মী-সমর্থকরা ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। প্রথমে ফ্লেক্স লাগাতে বারণ করে তারা। সাফ জানিয়ে দেয় ওই এলাকায় এরকম ফ্লেক্স লাগানো যাবে না। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি কংগ্রেসের কর্মীরা। এরপরই প্রচুর বিজেপি কর্মীর জড়ো হয় ওই এলাকায়। অভিযোগ, তারা কংগ্রেসের ফ্লেক্সটি ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। লাঠি, রড় নিয়ে বিজেপি কর্মীরা চড়াও হয় কংগ্রেসের কর্মীদের উপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সামনেও বেশ কিছুক্ষণ চলে সংঘর্ষ। দীর্ঘক্ষণ পর অবশেষে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
এরপর পুলিশের তরফেই গুরুতর আহত অবস্থায় কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভ্রজ্যোতি দাস ও কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদে সভাপতি শাহিদ কুরেশিকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তাদের পালটা অভিযোগ, কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপির কার্যালয় লুট করতে গিয়েছিল। তাতে বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। এরপরই সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.