Advertisement
Advertisement
আমফানের ক্ষতিপূরণ

আমফানের ক্ষতিপূরণে ‘দুর্নীতি’, পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও, রায়চকে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ

পুলিশকে লক্ষ্য ইট ছোঁড়া হয়।

Clashes between local people and police in the issue of amphan relief 'scam'
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 23, 2020 8:15 pm
  • Updated:July 23, 2020 8:15 pm

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আমফানের (Amphan) ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে লকডাউন অমান্য করে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও। চলল বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়চকের ২৫ নম্বর বুথের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ধুন্ধুমার। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। আত্মরক্ষার স্বার্থে পালটা লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আমফানে তাঁদের ঘরের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। অথচ ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার নুরপুর পঞ্চায়েতের রায়চকে পঞ্চায়েত সদস্য রিনা শিকারির বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। লাঠি হাতে পুলিশের দিকে তেড়ে যান মহিলারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোঁড়া হয়। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হন বলেই অভিযোগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক]

পঞ্চায়েত প্রধান ইয়াসিন গাজি বলেন, “প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ জানাননি কেউই।” ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, “এখনও পর্যন্ত ব্লকে সম্পূণ ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ৬ হাজার জনকে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার জনকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে। রায়চকের ওই এলাকায় এখনও পর্যন্ত ২ হাজার মানুষ আংশিক ক্ষতিপূরণ এবং একহাজার মানুষ সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে গিয়েছেন। এরপরেও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অথচ ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি এমন কেউ থাকলে পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে সরাসরি অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।” কিন্তু কোনও অভিযোগই তাঁদের কাছে জমা পড়েনি বলে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক জানিয়েছেন।

Advertisement

এদিকে বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাংশু পাণ্ডা পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করেছেন। জানান, শাসকদলের দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশকে দিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে  জানান, স্থানীয় একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে লকডাউন চলাকালীন এদিন বেশ কিছু মানুষের জমায়েত সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। জমায়েতকারীদের লকডাউন আইন না ভাঙার জন্যও বলা হয়।

[আরও পড়ুন: চোরাই বন্দুক বেচতে ওয়েবসাইট! লালগড় অস্ত্রচুরি কাণ্ডে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ