Advertisement
Advertisement

প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরাসরি পড়ুয়াদের মধ্যে, অভিযোগ শুনলেন মমতা

আদিবাসী গৃহস্থের দালানে বসে সকলের খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

CM Mamata Banerjee visited school in Burdwan, talk to student
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 26, 2019 9:50 pm
  • Updated:September 6, 2019 5:56 pm

রিন্টু ব্রহ্ম, বর্ধমান: প্রশাসনিক সভা শেষ করেই ফের স্বমহিমায় ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে জনসংযোগ করলেন তিনি। সভা সেরে বাংলোয় যাওয়ার পথে কখনও স্কুলে, কখনও সাধারণ মানুষের বাড়িতে আবার কখনও রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

[ আরও পড়ুন: ‘নৈতিক জয়’, বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলার রায় শুনে বার্তা ‘হতাশ’ বিজেপি নেতৃত্বের ]

Advertisement

সোমবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চ প্রশাসনিক বৈঠক শেষে, জিটি রোড ধরে বর্ধমান কানাইনাটশাল বাংলোর উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তখন রাস্তার পাশে ফুলের স্তবক নিয়ে হাজির হয় ছাত্রীরা। যাদের দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা শাসক বিজয় ভারতী ও জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডুকে সঙ্গে নিয়ে ঢুকে পড়েন স্কুলের ভিতরে। প্রধান শিক্ষিকা ভাস্বতী লাহিড়ীর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চেয়ে বলেন, ‘‘আপনাদের কী সমস্যা রয়েছে বলুন?’’ তখনই প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে বলেন, ‘‘আমাদের স্কুল বেড়ে উঠছে। অনেক ক্লাস রুম হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় মাঠ নেই। সামনের একটি জায়গায় স্কুলের মাঠ রয়েছে। যার মালিকানা অর্ধেক পুরসভার ও অর্ধেক স্কুলের।’’ উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘‘আমরা এটা করে দেব।’’ কেবল কথার কথা নয়, সঙ্গে সঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভার জায়গায় স্কুলকে মাঠ দেওয়া আশ্বাস দেন তিনি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ফেজ মাথায় শিবপুজো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষী কোন্নগর ]

এর পাশাপাশি, স্কুলের উন্নয়নে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ারও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা শাসক বিজয় ভারতীকে নির্দেশ দেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে স্কুলের জন্য আরও কিছু উন্নয়ন করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, স্কুল থেকে বেরোনোর সময় ছাত্রীদের কাছে ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা’ গানটিও শোনেন তিনি। তাঁদের সুরে সুর মেলান। হঠাৎ করে হলেও, মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে স্বভাবতই খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ভাস্বতী লাহিড়ী৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভাবতেই পারিনি, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আমাদের স্কুলে চলে আসবেন। স্কুলের মাঠের দরকার ছিল। যা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই দিতে পারতেন। তিনি তা দেবেন বলে জানিয়েছেন।’’

কেবল স্কুলে গিয়েই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপর কনভয় নিয়ে সোজা চলে যান উল্লসের দিকে। মিষ্টি হাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সোজা চলে যান আলিসা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন দাস পাড়ায় শিশু রুইদাসের বাড়ি। মাটির ঘরের বারান্দার দাঁড়িয়ে হাঁক পাড়েন গৃহস্থের উদ্দেশ্যে৷ সটান একটি চেয়ার নিয়ে সেখানেই বসে পড়েন। চা খান৷ বাড়ির একটি ছোট বাচ্চাকে আদর করতে করতে সকলের খোঁজ নেন৷ খাদ্যসাথী থেকে স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কিনা, তা জেনে নেন৷ মুখ্যমন্ত্রীকে অভাব-অভিযোগ জানান শিশু রুইদাস, ঝরনা রুইদাসরা৷ বলেন, ‘‘এলাকায় রাস্তা, আলো, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তাঁরা সরকারি বাড়ি পায়নি”। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা শাসককে বিষয়গুলি দেখতে বলেন। অন্যদিকে বর্ধমানের কার্জন গেটের কাছেবর্ধমান পুরসভার অধীনে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের মাইনে বাড়ানোর একটি আবেদনপত্র গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ