সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেন দুর্ঘটনার পর ভয় এখনও কাটেনি। রেলে এবার কেউটে আতঙ্ক। আর তার জেরে যাত্রীদের দৌড়-ঝাঁপ, ট্রেন আটকে থেকে ভয়ে সারারাত জেগে থাকতে হল তাঁদের। শিয়ালদহ (Sealdah) পৌঁছে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) ছেড়ে আসা হাওড়ামুখী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের S1 কামরার ১ নম্বর আসনের তলায় কেউটে (Cobra) সাপ দেখতে পান যাত্রী। ‘বাপ রে’, ‘মা রে’ বলে দৌড় দেন তিনি। নিমেষে ওই কামরা ফাঁকা হয়ে যায়। যাত্রীরা অন্য কামরাতে চলে যান।
ততক্ষণে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ট্রেনে কেউটে আতঙ্কের খবর পৌঁছে যায় আলুয়াবাড়ি রোডের আরপিএফের (RPF)কাছে। নির্দেশ মতো আরপিএফ ইসলামপুরে সাপ (Snake) ধরতে অভ্যস্ত নবনীতা উপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন। তিনি আলুয়াবাড়ি স্টেশনে হাজির হন সাপ ধরার যন্ত্র নিয়ে। তিনটি কামরা ফাঁকা করে একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও সাপের সন্ধান পাননি নবনীতা।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী, মনোয়নের সময় বাড়ানোর দাবি, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাই কোর্টে যাচ্ছেন শুভেন্দু-অধীর]
এরপর তাঁর অভয়বাণী পেয়ে ট্রেনটি গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছিল। তবে সর্প আতঙ্কের মধ্যেই সারাটা রাত কাটে যাত্রীদের। তাঁদের কথায়, ”রাতে ঘুমোতে পারিনি। আতঙ্কে সবাই লাগেজ তুলে দেয় বাঙ্কে। ফলে বাঙ্কের যাত্রীদের নেমে আসতে হয় নিচের সিটে।” কোথায় লুকিয়ে রয়েছে সাপ, এই ভয়েই রাত জাগতে হয়েছে তাঁদের। তবে ট্রেনে সাপ ওঠার ঘটনা এই প্রথম নয়। কালকা মেলের বার্থের উপরেও সাপ দেখা গিয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারশেডে থাকাকালীন সাপ উঠে যায় কামরার ভিতরে। সাপ, ইঁদুর, আরশোলা তাড়ানোর তদারকির জন্য রেলের আলাদা কর্মী থাকলেও এ ব্যাপারে তাঁদের উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ।