Advertisement
Advertisement

তিনমূর্তির অভিযোগে ‘বিষজ্বালা’ কংগ্রেসে

২১ জুলাই মানসবাবু তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন কি না, দেখেই দলীয় পদক্ষেপ৷

Congress went on to inform the party high   command of Bhunia’s “anti-party” activity
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 16, 2016 12:37 pm
  • Updated:September 12, 2020 12:57 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ কি নির্বিষ? নাকি বিস্তর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শেষে নীলকণ্ঠ হবেন কেউ!

এই পদ দেওয়া নিয়ে এআইসিসিকে ভুল বোঝানো হয়েছে বলে পরিষদীয় দলনেতা আবদুল মান্নান ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগের শেষে শুক্রবার যে ঘটনা বিধানসভায় ঘটে গেল, তা অবশ্যই দর্শনীয়৷ এবং অবশ্যই বিস্মিত হওয়ারও৷ মূল ফটক পার করেই আবদুল মান্নানের মুখোমুখি পিএসির চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া৷ প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবে জড়িয়ে ধরলেন মান্নানকে৷ সৌজন্য বিনিময়ের মধ্যেই ফুটতে থাকল কথার হুল৷ এবং উঠে এল ‘বিষ’৷ যা দেখে কেউ বলবে না, এটা সমুদ্রমন্থন নয়৷ যে কথোপকথনের শেষে উঠে এল সেই বিষজ্বালার তিক্ত অভিজ্ঞতা৷ মানস ভুঁইয়ার চিকিৎসক সত্তার কথা মাথায় রেখেই মান্নান বললেন, “এভাবে এত কিছু না বলে, আমায় একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে দে না৷” মানসের পাল্টা উত্তর, “আমি আর কী করব? তুমিই তো বিষ দিয়ে দিলে৷” দুই বিধায়কের কথোপকথনের অনেকটাই অবশ্য প্রকাশ করা গেল না৷

Advertisement

তবে পিএ কমিটির পদ নিয়ে যে এত সহজে বিষের জ্বালা মিটবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বিকেলে প্রদেশ সভাপতির বিরক্তির জবাবে৷ দু’দিন হয়ে গেল পিএ কমিটির বৈঠক৷ চেয়ারম্যান মানসবাবু নিজে ও তৃণমূলের ছয় সদস্য ছাড়া একদিনও হাজির থাকেননি কংগ্রেসের অন্য কোনও সদস্য৷ আসেনি বামফ্রণ্টও৷ তাঁরা অবশ্য পরের বৈঠকে থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী৷ আগামিদিনে কংগ্রেসের কেউ থাকবেন কি না, সে প্রশ্নের উত্তরে অধীর জানিয়েছেন, “এটি একটি সাংবিধানিক কমিটি৷ সেই সম্মানে সদস্যরা যাবেন৷ তার অর্থ এই নয় যে, আমরা মানসবাবুকে মেনে নিলাম৷”

Advertisement

গত কয়েকদিনের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মানসবাবু প্রদেশ সভাপতিকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করতে একটি মেসেজ পাঠান৷ পরে মেল করেও লেখেন৷ তার উত্তর এসে পৌঁছয় পরদিন৷ সাংবাদিক বৈঠকেই সে কথা জানিয়ে অধীর বলেন, “লিখেছি মানসবাবুর শুভবুদ্ধি হোক৷” বিধান ভবনের সাংগঠনিক বৈঠকে কোনও আলোচনাতেই মানস-প্রসঙ্গ তোলেননি কেউ৷ ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান, মনোজ চক্রবর্তীর মতো নেতারা৷ অধীরবাবু শুধু বলেছেন, “যথাসময়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানানো হচ্ছে৷ দলের অবস্থান ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ বিশৃঙ্খলা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না৷” একইসঙ্গে পিএসি নিয়ে মানসকে যে ছেড়ে কথা বলবেন না তিনি, তা স্পষ্ট বলেছেন, “পিএসি তো কারও সম্পত্তি নয়৷ এআইসিসির মত নেওয়া হয়েছে কি না, তা মানসবাবু নিজে গিয়ে জেনে নিন৷ তাঁরও তো অনেক যোগাযোগ আছে বলে শুনেছি৷ যান, গিয়ে অনুমতিও নিয়ে নিন এই পদে থাকা নিয়ে৷”

মনে করা হচ্ছে, ২১ জুলাই পর্যন্ত ধীরে চলো নীতি নিয়েছে দল৷ মানসবাবু বা তাঁর অনুগামী বা অন্য কেউ তৃণমূলের ওই মঞ্চে শাসক দলে যোগ দিচ্ছেন কি না, তা দেখে নিয়েই হবে দলীয় পদক্ষেপ৷ কয়েকজন নেতা নাম না করে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সবং বিধায়ককে৷ বলেছেন, “কেউ কেউ দলীয় শৃঙ্খলা মানছেন না৷ দল যেন কড়া ব্যবস্থা নেয়৷” কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া এদিন বিধান ভবনে যান৷ সূত্রে খবর, অধীর চৌধুরির সঙ্গে পিএসির পদে তাঁর দাদার থাকা নিয়ে কথা হয়েছে বিকাশবাবুর৷ অধীর তাঁকে দলের শৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে বিষয়টি সামলানোর অনুরোধ জানিয়েছেন৷ বিকাশও বলেছেন, “আমি চাই দাদা আলোচনার মধ্যে দিয়ে বিষয়টা মিটিয়ে নিক৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ