Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনুব্রতর ‘চড়াম চড়াম’

চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজালেন অনুব্রত মণ্ডল৷ তবে তা বিরোধীদের জন্য নয়৷

Controversial TMC leader Anubrata Mondal strict against corruption in party
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 6, 2016 8:26 am
  • Updated:June 6, 2016 8:26 am

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজালেন অনুব্রত মণ্ডল৷ তবে তা বিরোধীদের জন্য নয়৷ বিজয়োৎসবেও নয়৷ নিজের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই এবার সুর চড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি৷ পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ, সর্বত্র দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর সঙ্গে যুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি৷

রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক হয়৷ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মূলত পর্যালোচনার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল৷ বৈঠকে অনুব্রত সরাসরি দলের একশ্রেণির নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন৷ জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে বলে বৈঠকেই তোপ দাগেন তিনি৷ জেলার চারটি পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে ২ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বীকার করেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট৷ জেলা পরিষদের কাজে কোনও নেতা কমিশন চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার হুমকি দেন তিনি৷ এছাড়া আগামী একমাসের মধ্যে তিন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান জেল খাটবেন বলেও আগাম জানিয়ে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি৷

Advertisement

এদিন দলীয় বৈঠকে প্রথম থেকেই দুর্নীতি নিয়ে খড়গহস্ত হন অনুব্রত৷ রীতিমতো তথ্য তুলে ধরে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে চারটি পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে ভুয়া বিল দেখিয়ে ২ কোটি টাকা করে তুলে নেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে নানুরের সিংহি ও বাহিরি-পাঁচগোয়া পঞ্চায়েতের নাম উল্লেখ করেন অনুব্রত৷ বাহিরি-পাঁচগোয়া পঞ্চায়েতে আড়াই ইঞ্চি ঢালাই রাস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জেলা পরিষদের রাস্তা তিন ইঞ্চি ঢালাই করা হয়েছে বলেও তোপ দাগেন কেষ্টবাবু৷ এইসব রাস্তার ঠিকাদারদের টাকা না দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি৷ এর পাশাপাশি দলীয় পুরপ্রধানরাও কেষ্টবাবুর হুমকির হাত থেকে রেহাই পাননি৷ রামপুরহাটের পুর চেয়ারম্যান অশ্বিন তেওয়ারিকে বিরোধী কাউন্সিলরদের টাকার ভাগ দেওয়া নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “এরপর এই ধরনের অভিযোগ এলে তোমার নামে কেস করব৷” সাত্তোরের তৃণমূল নেতা শেখ মুস্তাফার প্রতি তাঁর হুঁশিয়ারি, “জোটের হয়ে যারা ভোট করেছে, তুমি তাদের সঙ্গে বৈঠক করছ৷ এই শেষ সুযোগ৷ এরপর তোমার নামে ডাকাতির কেস দেব৷” বোলপুরের পুরপ্রধান সুকান্ত ভকতের প্রতি তাঁর ফতোয়া, “এখন থেকে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ যা বলবেন, তাই শুনে চলতে হবে৷” দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রত বলেন, “পঞ্চায়েতে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপির মধ্যে জোট হবে৷ এবং বিধানসভার মতো ভোট হবে৷ তাই মানুষের পাশে থাকুন আর উন্নয়ন করুন৷” যে মানুষটির বিরুদ্ধে পুলিশকে বোমা মারার হুমকির অভিযোগ রয়েছে, সেই মানুষটির মুখে এদিন শোনা যায়, “বোমা-গুলির দরকার নেই৷ তাড়াতাড়ি জেলাজুড়ে পুলিশ তল্লাশি শুরু করবে৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ