সুবীর দাস, কল্যাণী: বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে এলাহি আমিষ ভোজন নিয়ে বিতর্কে জড়াল বিজেপির একাংশ। রবিবার তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্কে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দলের প্রবক্তাকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট নেতা-কর্মীরা। সব ঠিক থাকলেও মধ্যাহ্নভোজের রান্না নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। দেখা যায়, ভাত, মাংস হচ্ছে। অথচ শ্যামাপ্রসাদ নিজে ছিলেন নিরামিষাশী। তাঁর জন্মদিনে দেদার আমিষ ভোজনের আয়োজন কেন? এনিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন সংগঠনের সদস্যরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে কল্যাণীর অনু্ষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর। কিন্তু সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টির কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি। স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে সেন্ট্রাল পার্কের শ্যামাপ্রসাদের শ্বেতপাথরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে জন্মদিন পালন করা হয়। সকালের অনুষ্ঠান শেষে দলীয় কর্মীদের জন্য রান্নাবান্নার আয়োজন করা হয়। হেঁশেলে ঢুকে দেখা যায়, বিশাল কড়াইয়ে মাংস রান্না হচ্ছে। পাশে হাঁড়িতে ফুটছে ভাত। ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ ছিলেন নিরামিষভোজী। অথচ তাঁরই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মেনুতে মাংস-ভাত! তা মেনে নিতে পারেনি দলেরই একাংশ। এক নেতা তো মন্তব্য করেই ফেললেন, “আমিষ না রাখলেই ভালো হতো, তাতে সম্মান বজায় থাকত।”
এনিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই উদ্যোক্তারা অবশ্য দায় এড়িয়ে বলছেন, সংঘের প্রচার ও জনসংযোগমূলক অনুষ্ঠানে আমিষ খাওয়ার চল রয়েছে। এতে দোষের কিছু নেই। তবে বিষয়টি ঘিরে বিজেপির অন্দরে মতভেদ ফের প্রকাশ্যে চলে এল। এতে জেলায় রাজনীতির পারদ চড়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসকদল তীব্র কটাক্ষ করেছে। ঘাসফুল শিবিরের মন্তব্য, একজন নিরামিষভোজী নেতার স্মরণে এই ধরনের আয়োজন দলের মূল্যবোধকেই প্রশ্নের মুখে ফেলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.