সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নবিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে (Shantiram Mahato) সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিতেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। একেবারে বাছাই করা শব্দে এবার সভাপতি বদলের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কুরমিদের একাংশ। তেমনই অপর অংশ পুরুলিয়ায় তৃণমূল ধ্বংসের মুখ্য কারিগর হিসাবে শান্তিরাম মাহাতোকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। কেউ ব্যঙ্গের সুরে বলছেন, “আদিবাসী নেতা গুরুপদ টুডু ব্লক সভাপতিই সামলাতে পারেন না, তিনি আবার জেলা সভাপতি!
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত আলোচনা হয়েছে জেলা তৃণমূলের সাইবার সেল গ্রুপেই। ফলে সভাপতি বদলকে ঘিরে দলের গোষ্ঠী-কলহ এবার সামনে চলে এসেছে। সোশাল মিডিয়ায় এই ক্ষোভ–বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টু়ডু বলেন, “এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি কোন কথা বলব না। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সাধারণ মানুষজনকে নিয়ে তা আমি সঠিকভাবে পালন করে যাব।”
জেলা সভাপতি বদলকে ঘিরে সোশাল সাইটে নানা প্রসঙ্গ উঠছে। বিহার থেকে পুরুলিয়াকে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভাষা আন্দোলনে যে টুসু গান ব্যবহার হয় সেই গানকে সামনে রেখে সোশাল সাইটে পোস্ট চলছে। কুরমিরাই লিখছেন, “পুরুলিয়ায় তৃণমূল ধ্বংসের মুখ্য কারিগর শান্তিরাম মাহাতোকে জেলা সভাপতি থেকে হটানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ।” মানভুইঞা ভাষায় আরও একটি পোস্টে লেখা হয়েছে “যারা ভাবছে পুরুলিয়ায় কুড়মি রাজনীতি শেষ তারা ২০২১ শে চরঘা সুতায় বাঝায় যাবেক। তার পর জানবেক কুড়মি রাজনীতি কী জিনিস। কুরমিরা বাজাও তালি।”
এই সভাপতি বদলে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, “প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি ভেবেছিল সুতার রাজনীতির দ্বারা পুরুলিয়ার কুরমিদের রাজনীতি শেষ করবে। কিন্তু পরবর্তীকালে সুতার রাজনীতি শেষ করে দিয়েছিল কুরমিরা। মনে রাখিস বন্ধু।” এই বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “সোশাল সাইটে কি লেখা হচ্ছে আমার জানা নেই। কেউ কোন ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরতেই পারেন।”
ছবি: অমিত সিং দেও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.