Advertisement
Advertisement
Mihir Goswami

বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা

ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন নাটাবাড়ির বিধায়ক।

Cooch Behar: TMC district president meets BJP MLA Mihir Goswami
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 6, 2021 7:41 pm
  • Updated:October 6, 2021 7:55 pm

বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে বিধায়কও হয়েছেন। এবার সেই মিহির গোস্বামীর (Mihir Goswami) তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। বুধবারই বিজেপি বিধায়কের বাড়ি যান তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন (Girindra Nath Barman)। বেশ কিছুক্ষণ মিহিরের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপর থেকেই মিহিরের শাসক দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Cooch Behar: TMC district president meets BJP MLA Mihir Goswami

Advertisement

তৃণমূল রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর গত পাঁচমাসে বেশ কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এই তালিকায় নাম রয়েছে মুকুল রায় (Mukul Roy), তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস, সৌমেন রায়ের মতো বিধায়কের। দিন কয়েক আগে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন। তাঁরও দ্রুতই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে আজ মিহির গোস্বামীর বাড়িতে গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের উপস্থিতি নতুন জল্পনার জন্ম দিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Weather Update: মহালয়ায় বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, পুজোতেও বৃষ্টির আশঙ্কা]

যদিও, এই বৈঠককে নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছে দু’পক্ষই। মিহিরের সঙ্গে দেখা করার পর গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, “আমরা দীর্ঘদিনের সহকর্মী। মিহিরদা আমার কাছে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। দলের জেলা সভাপতি হওয়ার পর আসতে পারিনি। তাঁর পরামর্শ ও আশীর্বাদ নিতে এসেছি।” মিহিরবাবুর বক্তব্যও একই রকম। তিনি বলছেন, তৃণমূল জেলা সভাপতি আমার সঙ্গে শুধুই দেখা করতে এসেছিলেন। কোনও রাজনীতির কথা বলতে নয়। এর মধ্যে সৌজন্য ছাড়া আর কিছুই নেই। এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাধিপতি মালতী রাভা রায় জানিয়েছেন, “ওঁরা পুরনো বন্ধু। মিহিরদা আজই কলকাতা থেকে ফিরেছেন। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।”

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের আগে খড়দহে বিজেপি শিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ প্রায় ৫০০ কর্মীর]

যতই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হোক। গিরিন-মিহিরের এই আলাপচারিতা নিয়ে কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে এখন জল্পনা তুঙ্গে। আসলে সামনেই দিনহাটা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আগামী ৩০ অক্টোবর সেই কেন্দ্রে ভোট। তার ঠিক আগে তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে বিজেপি বিধায়কের সাক্ষাৎ নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ