বাবুল হক, মালদহ: সকাল সকাল ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ুয়াদের চক্ষু চড়কগাছ। টেবিলে মদের বোতল। বেঞ্চে পড়ে চাট। তিন দিন স্কুলে থাকা পুলিশকর্মীদের জন্যই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ উঠেছে মালদহের সাহাপুর হাইস্কুলে।
[বাবা-কাকিমার পরকীয়া দেখে ফেলার ‘অপরাধ’, কাকার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার কিশোরী]
বিদ্যালয়ের চার থেকে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষে এমন ‘দূষণের’ ছবি দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। যেসব ঘরে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে নিচু ক্লাসের পড়ুয়ারা পড়ে। তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের একটা অংশ ওই স্কুলে উঠেছিল। বাহিনীকে বিদ্যালয়ের কয়েকটি ঘর থাকতে দেওয়া হয়। তারা ফিরে যাওয়ার পর এদিন ওই সব ক্লাসরুমের দরজা খোলার পর চমকে যায় পড়ুয়ারা। শুধু মদের বোতল নয়, মিলেছে চাটও। এমনকী ক্লাসরুমের যেখানে-সেখানে মল, মূত্রও মিলেছে এবং চেয়ার-টেবিল ও বেশ কিছু বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পড়ুয়াদের। সাফাই করার জন্য ওই ক্লাসের পড়ুয়াদের এদিনের মতো ছুটি দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় বিড়ম্বিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর নাথ স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
[বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, খুনের চেষ্টায় ধৃত ডাক্তারি ছাত্র]
ইংরেজবাজার শহর লাগোয়া এই স্কুলটি বেশ প্রায় ষাট বছরের পুরনো। পড়ুয়ার সংখ্যা কয়েকশো। বিদ্যালয়ের ইতিহাসে এধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি। পুলিশকে থাকতে দিয়ে এমন ‘দূষণে’ ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। এই নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। তবে পুলিশকর্তারা এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তিন দিন থেকে পুলিশের এমন কীর্তি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।