Advertisement
Advertisement
Coromandel Express Accident

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা, বিক্ষোভের মুখে সাংসদ আলুওয়ালিয়া

একশো দিনের টাকা প্রসঙ্গে তাঁকে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ।

Coromandel Express Accident: BJP MP SS Aluwalia faces agitation from migrant labourers and TMC at Bhatar | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 4, 2023 8:55 pm
  • Updated:June 4, 2023 8:55 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার (Coromandel Express accident) পর বাড়ি ফিরে এসেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বামশোর, কালুত্তক গ্রাম মিলে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant labourers)। তারা সকলেই কমবেশি আহত হয়েছেন। রবিবার ওই আহত পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া (SS Aluwalia)। আর বামশোর গ্রামে পা রাখার পরেই তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। অভিযোগ একদল তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে।
 
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, “একশো দিনের মজুরি বকেয়া, নতুন করে কাজ নেই। তাই এই রাজ্যের মানুষকে ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে। তাঁদের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে।” যদিও সাংসদ ওই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, “একশো দিনের প্রকল্পের হিসাব না দিতে পারায় কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউন্টস বিভাগ টাকা আটকে রেখেছে। হিসাব দিলেই বকেয়া মজুরির টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।” 

[আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত কাকদ্বীপের যুবকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে ‘বাধা’, বিক্ষোভের মুখে অগ্নিমিত্রা]

রবিবার বিকেল নাগাদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বামশোর গ্রামে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অভিজিৎ তাঁ, বিজেপির (BJP)যুবনেতা সৌমেন কার্ফা সহ অন্যান্যরা। বামশোর গ্রামে আসার পর দেখা যায় নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জুলফিকার আলি, ভাতার অঞ্চল তৃণমূল নেতা সোমু চৌধুরী, সহ নিত্যানন্দপুর অঞ্চল তৃণমূলের কয়েকজন নেতৃত্ব স্থানীয় কর্মী। তাঁরা সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন একশো দিনের প্রকল্পে বকেয়া মজুরির জন্য। 

[আরও পড়ুন: নদীতে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে বিপর্যয় বিহারে, ভাইরাল ভিডিও!]

সাংসদ এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, “আসলে তৃণমূলের বিধায়ক ও নেতারা এই এলাকার আহত পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। তাঁদের আগে আমি চলে এসেছি। তাই রাজনৈতিক কারণে ওই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা ছিল তারা সবাই বাইরের। স্থানীয় গ্রামবাসীরা কেউ ছিলেন না।” এ বিষয়ে ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন,”বিজেপি সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। শুধু স্বার্থের রাজনীতি করে। একশো দিনের কাজ না থাকায় বিজেপির ওপর মানুষের ক্ষোভ রয়েছে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement