সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের শিবকালীনগর এলাকায় তাঁর গাড়ি আটকে বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক বিক্ষোভ দেখান বলেই অভিযোগ। অগ্নিমিত্রার দাবি, তাঁকে লক্ষ্য করে গো-ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে শুরু জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কাকদ্বীপের মধুসূদনপুরের ১৫জন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। শনাক্ত হয় তিনজনের দেহ। নিখোঁজ ও মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বেলা ১২টা নাগাদ মৃত যুবক মইনুদ্দিন শেখের বাড়িতে দেখা করতে যান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। অভিযোগ, শিবকালীনগর এলাকাতে তাঁর গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সমর্থকরা। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিও ঘটনাস্থলে ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, এলাকার বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাই স্থানীয়রা চিন্তিত। তা সত্ত্বেও এলাকায় রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। তাই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে অগ্নিমিত্রা বাকবিতণ্ডাতে জড়িয়েও পড়েন।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলেকে’ হারালেন যশ-নুসরত! ‘পরপারে দেখা হবে..’, লিখলেন অভিনেত্রী]
এভাবেই একাধিকবার কাকদ্বীপে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী। তাঁকে লক্ষ্য করে গো-ব্যাক স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকি রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভ সামলে অগ্নিমিত্রা কেবলমাত্র মৃত বুদ্ধদেব বাগের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। বাকি আর কারও সঙ্গে দেখা করতে পারেননি অগ্নিমিত্রা। বিজেপি নেত্রী বলেন, “নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তৃণমূল বাধা দিয়েছে। একশো দিনের কাজের টাকা কেন কেন্দ্র দেয়নি তা নিয়ে অহেতুক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আমার প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কেন এ রাজ্যে ওই যুবকদের কাজ দিতে পারলেন না? কেন রাজ্যের বাইরে কাজে যাচ্ছিলেন ছেলেগুলো?” এদিকে, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “তৃণমূল নয়, জনরোষে পড়েছিলেন বিজেপি নেত্রী। পুলিশ প্রশাসনকে আগে কোনও কিছু না জানিয়েই তিনি এলাকায় গিয়েছিলেন তাই সমস্যা।”