দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: জ্বরকে গুরুত্ব না দিয়েই লাগাতার ট্রেনে যাত্রা, অফিস! রাজ্যের আরেক করোনা আক্রান্তের গতিবিধিতে দুশ্চিন্তায় চিকিৎসকরা। ওই প্রৌঢ়ের মাধ্যমে আরও বহু মানুষ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে না পারার কারণেই এই উদাসীনতা বলেই দাবি চিকিৎসকদের।
জানা গিয়েছে, হুগলির শেওড়াফুলির বাসিন্দা বছর ৫৯-এর প্রৌঢ়। চাকরি করতেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায়। ১৬ মার্চ প্রথম জ্বর আসে তাঁর। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও সর্দিও ছিল। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে তিনি। ওষুধে জ্বর পুরোপুরি সেরেও যায়। জ্বর নিয়েও দুর্গাপুরে অফিসে যাওয়া থেকে বিরত থাকেননি তিনি। ২০ মার্চ ফের জ্বর আসে তাঁর। এরপরই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ভরতি করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। উপসর্গে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল নাইসেডে। সেই রিপোর্ট হাতে আসতেই জানা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়।
[আরও পড়ুন: লকডাউনেও ঘাটতি নেই সুষম আহারে, করোনা প্রতিরোধে প্রতিবেশীদের সবজি বিলি ব্যাংক কর্মীর]
ওই প্রৌঢ়ের গতিবিধি প্রকাশ্যে আসার পরই চিন্তা বেড়েছে সকলের। কারণ লোকাল ট্রেনে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে এই প্রৌঢ়ের মাধ্যমে আরও বহু মানুষ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে তাঁর সহকর্মীরাও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আক্রান্তের স্ত্রীর কথায়, ট্রেন সফরের সময়ই কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁ স্বামী। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির রিপোর্ট মেলার পর তাঁর ছেলে-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।