Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

নির্দেশ উড়িয়ে এলাকায় অবাধ ঘোরাফেরা, দায়িত্বজ্ঞানহীন তেহট্টের করোনা আক্রান্ত পরিবারও

এই পরিবারের থেকে বহু মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

CoronavirusOutbreak: Nadia's Corona infected family didnot obey doctors order

ফাইল ফটো

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 28, 2020 9:11 am
  • Updated:March 28, 2020 11:06 am

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: প্রশাসনের তরফে বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দূরত্ব বজায় রাখতে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই সপরিবারে করোনা আক্রান্তকে দেখতে দিল্লি গিয়েছিলেন তেহট্টের ওই পরিবার। আর ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসাতেই সংক্রমিত ২ শিশু-সহ একই পরিবারের ৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিতসকরা কারণ তেহট্টে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। সূত্রের খবর, পাঁচ জনের শরীরে করোনারর জীবাণু মেলার পরই তেহট্টের আরও ২০ জনকে কলকাতায় আনা হয়েছে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। শনিবারই হাতে আসবে রিপোর্ট।

জানা গিয়েছে, তেহট্টের বর্ণিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লিতে থাকতেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকে ফেরেন তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে তেহট্টের এই পরিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা করেন করোনা আক্রান্ত ওই যুবকের সঙ্গে। সতর্কতামূলকভাবে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলে সেসবকেও তোয়াক্কা করেননি তাঁরা। উলটে ২০ মার্চ ট্রেনে দিল্লি থেকে ফেরেন কলকাতা। বাড়ি ফেরার পর ২৩ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পরিবারের এক সদস্য। জ্বর-সর্দিকাশি শুরু হয় তাঁর। প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে বাধ্য হয়ে স্থানীয় চিকিতসকের দ্বারস্থ হন তিনি। উপসর্গে সন্দেহ হওয়ায় চিকিত্সকরা যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য ভবন ও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বাকি ১৩ জনকে পাঠানো হয় হোম কোয়ারান্টাইনে। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বুধবার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিদেশফেরতদের চিহ্নিতকরণ শুরু উত্তরপাড়ায়, বাড়ির বাইরে দেওয়া হল নোটিস]

শুক্রবার রিপোর্ট পেতেই জানা যায় তাঁরা করোনা আক্রান্ত। এরপরই সংক্রমণের আশঙ্কা করে আরও ২০ জনকে কলকাতায় আনা হয়েছে। শনিবার হাতে আসবে তাঁদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও সে কথা কানে না নিয়েই সকলের সঙ্গে মেলামেশা করেন ওই পরিবারের সদস্যারা। স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন, এতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বের পরিস্থিতি জানা সত্ত্বেও কেন বারবার দায়িত্বজ্ঞাবহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন এরাজ্যের বাসিন্দারা, উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের সকালে রাস্তায় ‘বুল ফাইট’! পেট্রল পাম্পে ঢুকে ভাঙচুর চালাল দুই ষাঁড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ