Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC

ভুয়ো তালিকা, ১০০ দিনের মজুরি থেকে কাটমানি! লোকসভার আগে বোলপুরের গ্রামে দুর্নীতির গন্ধ

ভুয়ো শ্রমদিবস দেখিয়ে ১০০ দিনের টাকায় খেলার মাঠ কেনার ছক পঞ্চায়েতের!

Corruption allegations in MNREGA against TMC Panchayat in Bolpur

ফাইল ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 20, 2024 2:18 pm
  • Updated:April 20, 2024 2:18 pm

দেব গোস্বামী, বোলপুর: ১০০ দিনের টাকা থেকে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বোলপুরের সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে অভিযোগের তির। গ্রামবাসীদের দাবি, মাথার ঘাম পায়ে ফেলা শ্রম দিবসের টাকা থেকে ভাগ চাইছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। যদিও বিষয়টি একেবারেই অন্যরকম বলে সূত্রের দাবি। ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো শ্রমদিবস তৈরি করে গ্রামের খেলার মাঠ কেনার ছক কষেছিল পঞ্চায়েত। যারা আদতেও শ্রমিক নন, তাঁদের নামেই মাস্টার রোল তৈরি হয়েছে। আর সেই মাস্টার রোল করেছে গ্রাম পঞ্চায়েতই। কিন্তু টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই বেঁকে বসেছেন সেই ‘ভুয়ো’ শ্রমিকেরা। লোকসভা ভোটের আগে এটাকেই ইস্যু করেছে বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, “শধু সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতে নয়, গোটা জেলা এবং রাজ্যজুড়েই এই ভুয়ো ১০০ দিনের টাকা মোকাবিলা না করতে পারার জন্যই কেন্দ্র সরকার টাকা আটকে রেখেছে। পালটা তৃণমূলের দাবি, “আমাদের সরকার ১০০ দিনের উপভোক্তাদের টাকা দিয়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীরা কোথায় কী করেছে, সেটি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিও জানবেন।” যদিও গ্রামবাসী আবুল কালাম বলেন,”আমাদের কাছে তালিকা রয়েছে কার নামে কত টাকা ঢুকেছে। আমার যেমন পাঁচ হাজার টাকা ঢুকেছে। সেই পাঁচ হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা দাবি করছে তৃণমূল নেতারা। কেন দেব? খেলার মাঠ কেনার জন্য মজুরির টাকার দিকে নজর কেন?” এ নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে গ্রামজুড়ে। কেউই এই টাকা দিতে রাজি হননি। গ্রামবাসী শেখ অম্বিয়া বলেন, “শুধু টাকা চাওয়া নয়, পেশায় শিক্ষক, পুরসভার কর্মীদের নামেও ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে। শাসকদলের নেতাদের যাদের নামে জব কার্ড হওয়ার কথা নয় তাদের নামে রয়েছে জব কার্ড।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছেলের বেশে মেয়েদের সঙ্গে প্রেম! প্রস্তাব প্রত্যাখানে ‘অ্যাসিড হামলা’র হুমকি, গ্রেপ্তার নাবালিকা]

তবে সাত্তোরের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাইফুদ্দিন শেখ জানান, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” তৃণমূল নেতা শেখ মোস্তফা বলেন, “গাঁয়ে খেলার মাঠ করার জন্য জমি কেনা হবে। ১৮ লক্ষ টাকা দাম ঠিক হয়েছে। ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে অগ্রিম বাবদ। তাই মানুষের কাছ থেকে কিছু কিছু করে টাকা নেওয়া হচ্ছে।” যদিও সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কবিরুল মোল্লা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বোলপুর শ্রীনিকেতনের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস জানান, “গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দিষ্ট মাস্টার রোল ভিত্তিক উপভোক্তাদের টাকা ঢুকেছে। অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আদালতে চলছে ট্রাম্পের বিচার, বাইরে গায়ে আগুন দিলেন যুবক!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ